২৪ অক্টোবর ২০১৪: আওয়ামী লীগ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে দলটির কার্যনির্বাহী পরিষদ। শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ হারান লতিফ সিদ্দিকী। হজ, তাবলিগ এবং মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সফরে থাকার সময় গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী হজ নিয়ে মন্তব্য করেন। এরপর তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। লতিফ সিদ্দিকী সেদিন বলেছিলেন, আমি কিন্তু হজ আর তবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ায় দেশের অর্থ আর শ্রম শক্তির ‘অপচয়’ হয়।
তার ওই বক্তব্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি ইসলামী দল আন্দোলনের হুমকি দেয়। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার পাশাপাশি গ্রেফতারের দাবিও তোলে বিএনপি।
এর মধ্যেই ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অন্তত দুই ডজন মামলা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় তাকে সমনও জারি করা হয়েছে।