১ অক্টোবর ২০১৪: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের প্রশংসা করলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিরস্কারের একদিন পর গতকাল ধানমন্ডিস্থ দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে পাশাপাশি বসে তার (হাছান মাহমুদ) প্রশংসা করলেন তিনি। গতকাল সকালে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাজেদা চৌধুরীর বাম পাশে বসা ছিলেন হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি সাজেদা চৌধুরীকে মাইক্রোফোন এগিয়ে দেয়াসহ কানে কানে ব্রিফিংয়ের বিষয়ে অবহিত করেন। পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করে সাজেদা চৌধুরী বলেন, আজকের এ সংবাদ সম্মেলনের কথা আমার জানা ছিল না। হাছান (ড. হাছান মাহমুদ) ও অসীমের (অসীম কুমার উকিল) কথায় আমি এখানে এসেছি। প্রচার ও প্রকাশনা সেলে হাছান ও অসীম খুব ভাল কাজ করছে। তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে ডেকেছে। তারা খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য হাছানসহ দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগে গত রোববার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পাশাপাশি জনসভায় হাছান মাহমুদের ভাষণ দেয়াকে ‘স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ বেয়াদবি’ ও হাছান মাহমুদের কঠোর সমালোচনা এবং তার রাজনৈতিক জীবন নিয়েও সমালোচনা করেন সাজেদা চৌধুরী। এদিকে পবিত্র হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কটূক্তি করায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ‘মুখফোঁড়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না। মুখফোঁড় অনেকেই আছেন, তারা অনেক সময় অনেক কথা বলেন। এটা তাদের স্বাধীনতা। তাদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কে কি বললো, এতে কান দেবেন না, যা দিয়ে যাওয়ার বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয় কে, তা সবাই জানে। সমপ্রতি বিএনপি ও তারেক রহমানের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় অনেকে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করতে চায়। এটা সম্ভব নয়। কারণ ইতিহাস ইতিহাসই। যারা ইতিহাস বিকৃত করবে আল্লাহর কাছেও তারা মুক্তি পাবে না। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনারা এসেছেন এতেই প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগের প্রতি এখনও আপনাদের আগ্রহে ভাটার টান পড়েনি। এটা আপনাদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে। আওয়ামী লীগ কখনও বিলুপ্ত হবে না। স্রোতের মতো বহমান থাকবে। সংবাদ সম্মলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল প্রমুখ।
London Bangla A Force for the community…

আওয়ামিলীগ একটা বাটপারের দল।