২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪: ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের দমনে নেতৃত্ব দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুসলিম নারী পাইলট মেজর মারিয়াম আল মানসুরি। যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে আ্ইএস লক্ষ্য বস্তুুতে বিমান হামলায় মারিয়াম একটি এফ-১৬ বিমান চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মেজর মারিয়ামকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক গণমাধ্যমে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। টুইটারে মেজর মারিয়ামের বিভিন্ন ছবি এবং তার আইএস বিরোধী হামলায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে।
মেজর মারিয়াম আরব আমিরাতের বিমান বাহিনীর প্রথম নারী পাইলট। কিশোর বয়স থেকেই মারিয়াম বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতো। ২০০৭ সালে আবু ধাবির খলিফা বিন জায়াদ এয়ার একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে এখন যুদ্ধবিমান এফ-১৬ এর দক্ষ পাইলট। তিনিই প্রথম আরব নারী যে আ্ইএস জঙ্গিদের ওপরে প্রথম বোমা নিক্ষেপ করেছেন। আরব আমিরাতের নারীরা প্রচন্ড রক্ষণশীল হওয়ার পরেও যুদ্ধবিমান চালানোর মতো কাজে মেজর মারিয়ামের এই অংশগ্রহণকে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো আরব বিশ্বে নারী জাগরণ হিসেবে প্রচার করতে শুরু করেছে।
আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে হামলার প্রথম রাতে সাগরের জাহাজ থেকে ৪৭ টমাহক ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে অত্যাধুনিক এফ-২২ র্যাপটর ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে ব্যয় হয় ১৫ লাখ ডলার। এফ-২২ ফাইটার জেট উড্ডয়নে প্রতি ঘণ্টায় খরচ হয় ৬৮ হাজার ডলার। জঙ্গিদের দমনে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার খরচ ২০১১ সালে লিবিয়ায় হামলার খরচকেও ছাড়িয়ে যাবে। হিসাব কষে গত বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এবারের হামলার জন্য প্রতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হবে ১০০ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী জোটে সৌদি আরব, জর্দান, কাতার, বাহরাইন এবং আরব আমিরাত অংশ নিচ্ছে।