ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / জামায়াতের চাপে ঢাকায় বিএনপির নতুন কমিটি, নেতৃত্বে মির্জা আব্বাস

জামায়াতের চাপে ঢাকায় বিএনপির নতুন কমিটি, নেতৃত্বে মির্জা আব্বাস

image

বিগত মহাজোট সরকারের আমলে রাজধানী ঢাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতায় ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল আন্দোলন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ফের একই দাবিতে আন্দোলনে নামার আগে ঢাকায় দল গুছানোর উদ্যোগ নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

কয়েকটি বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ২০ দলীয় জোটের দ্বিতীয় বড় শরিক জামায়াতের চাপে তড়িঘড়ি করে ঢাকায় বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে গুছাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে, সাবেক ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার চেয়ে মির্জা আব্বাস জোট শরিক জামায়াতের প্রতি বেশি উদার মনোভাব পোষণ করেন।

শুক্রবার রাতে মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ৫৩ সদস্যের ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চার জন উপদেষ্টা ও ছয় জন যুগ্ম আহ্বায়কও রাখা হয়েছে নতুন কমিটিতে।

এ কমিটিকে এক মাসের মধ্যে রাজধানীর প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানায় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটির উপদেষ্টারা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সহ-সভাপতি ও সাবেক নগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক নগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম।

যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুল আউয়াল মিন্টু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাসার, নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু, এমএ কাইয়ূম, আবু সাঈদ খোকন।

সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএ খালেক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, আবদুল লতিফ ও সিরাজুল ইসলাম (কলাবাগান), আব্দুল মজিদ (রমনা), আনোয়ারুজ্জামান (তেজগাঁও), শামসুল হুদা ও গোলাম হোসেন (সবুজবাগ), সাজ্জাদ জহির ও একরামুল হক (শাজাহানপুর), ইউনুস মৃধা (খিলগাঁও), বজলুল বাসিত আনজু (মিরপুর), সাদেক আহমেদ (মুক্তিযোদ্ধা), আলী আজগর মাতবর (কাফরুল), নিতাই চন্দ্র ঘোষ (সুত্রাপুর), আহসান উল্লাহ হাসান ও আলী ইমাম আসাদ (পল্লবী) বোরহানুজ্জামান ওমর ও তানভীর আদেল বাবু (পল্টন), হারুনর রশিদ খোকন (মতিঝিল), আবুল হাসান তালুকদার ননী (শাহবাগ), আবু মোতালেব ও আনোয়ার পারভেজ বাদল (চক বাজার), আব্দুল মতিন (মোহাম্মদপুর), আবদুস সামাদ (কোতোয়ালি), হাজী আলতাফ হোসেন (লালবাগ), ফরিদ আহমেদ (দয়াগঞ্জ), আক্তার হোসেন খিলক্ষেত, নবী উল্লাহ নবী, মীর হোসেন মীরু, ফকরুল ইসলাম, ফেরদৗস আহমেদ মিষ্টি (শাহআলী) তানভীর আহমেদ রবিন (কদমতলী), শেখ রবিউল আলম (ধানমন্ডি), কফিল (উত্তরা পুর্ব) আরিফুর রহমান নাদিম (আরমানিটোলা), জাফরুল ইসলাম (বংশাল) ও এসএম জিলানী।

শুক্রবার কমিটি ঘোষণঅর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে বসে এই কমিটি চূড়ান্ত করেন।

তবে গভীর রাতে খবর ছড়িয়ে পড়লেও সদস্য সচিব মনোনয় জটিলতায় নতুন কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া হাবিব-উন-নবী সোহেলকে সদস্য সচিব করলেও মির্জা আব্বাস সদস্য সচিব হিসেবে এমএ কাইয়ূমকে চেয়েছিলেন।

এনিয়ে শুক্রবার দিনভর দর কষাকষি চললেও সোহেলে ব্যাপারে অনড় থাকেন খালেদা। পরে সোহেলকে মেনে নিয়েই ঢাকা মহানগরকে নেতৃত্ব দিতে মির্জা আব্বাস রাজি হলে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

২০১১ সালে ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর বিএনপির ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়া।

ওই কমিটিকে ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার সব ওয়ার্ড ও থানায় কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খোকা-আবদুস সালাম কমিটি তা করতে ব্যর্থ হয়।

যার জের ধরে ১৮ দলীয় জোটের (বর্তমানে ২০ দলীয় জোট) তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল আন্দোলন ব্যর্থ হয় এবং গত ৫ জানুয়ারি সরকার বিরোধী জোটকে বাধ রেখেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে ফেলে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার গঠনের পর খালেদা জিয়া দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেত্রীর পদ থেকে ছিটকে পড়েন। সরকারি নিরাপত্তা ও লাল পাসপোর্ট হারাতে হয় তাকে।

৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পর সবচেয়ে জোড়ালো আন্দোলন ও ব্যাপক প্রাণহানির পরেও ১৮ দলের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির সাংগঠনিক সামর্থ ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আন্দোলন ডেকে রাজধানীতে বিএনপি নেতারা উধাও হয়ে যাওয়ায় ১৮ দলের দ্বিতীয় প্রধান শরিক জামায়াতের নেতাকর্মীদেরই সবচেয়ে বেশি চাপ সামলাতে হয়। এ কারণে বিএনপির সাথে দলটির দূরত্বও তৈরি হয়।

এ অবস্থায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার পর জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিএনপিকে পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয় জোটের প্রধান শরিক দলের নেতাকর্মীদের মাঠে দেখার পরই তারা এবারের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবেন। এতে অনেকটা বিপাকে পড়েই ঢাকা মহানগর বিএনপিকে গুছানোর উদ্যোগ নিলেন খালেদা জিয়া।

One comment

  1. BNP means basically no party. Every leader has joined for benefit in BNP.BNP committee could not be done because they have no soul heart leader and worker.
    where as BAL arrange some worker from the slum of Dhaka city. Before the election, they fire on the slum and spend some Tin and food , by this way collect some worker who shows the very aggressive activity such as killing, firming,helping police by using some arms, BAL never oust any slum, footpath.where as BNP always oust the slum, so the lower class people become angry on BNP and by this BAL take the benefit, In the slum have numerous vote then the residential area.
    wherea as the 3rd largest Party of Bangladesh is Jamata Islami, they have very little worker but they are highly qualified, Since the largest two political parties of Bangladesh are unfit to administrate the country, people are finding new party for solution, then comes Jamata Islami, So Indian Raw and BAL arrange plan and making bed image regarding Jamata Islami all Leader by the tribunal for war crime, but they have to face all kind of charge like kill,rafe,fireing what ever similar of both parties leader. But people do not believe their talk ans work………….