টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নিবার্হী মেয়ার লুতফুর রহমান কমিউনিটি সেক্রেটারী এরিক পিকল প্রেরিত স্বাধীন অডিটসকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসি প্যানোরমার অভিযোগের ভিত্তিতে কমিউনিটি সেক্রেটারী শুক্রবার অডিট সংস্থা প্রাইসওয়াটার হাউস কুপার (পিডব্লিউসি) এর দুজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে মিলিত হন। তবে মেয়ার অফিস থেকে কোন কাগজপত্র নিয়ে যাননি। নির্বাহী মেয়ার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, যথযথ অডিটের মাধ্যমে মিথ্যাচারের অবসান হবে। তবে বিরোধীরা এই সুযোগে এসব নিয়ে রিউমার (গুঞ্জন) ছড়িয়ে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ক্ষতি করার চেষ্ঠা করছে।
মেয়ার বলেন, আপনারা দেখেছেন বিবিসির প্যানোরমা আমার বা আমাদের কাউন্সিলের বিরুদ্ধে সুনিদ্দিষ্ট ভাবে কোন প্রামানিক অন্যায় বা অনিয়ম তুলে ধরতে পারেনি। ভোট পাওয়ার আশায় বাংলাদেশী এবং মুসলিম কমিউনিটির জন্য আমি অতিরিক্ত সুবিধা দিচিছ,এই কথা প্রচারিত হলেও প্যানোরমা একজন নন মুসলিম বা শ্রেতাংগকে বঞ্চিত হিশেবে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারেনি। আমাদের দৃর বিশ্বাস কমিউনিটি সেক্রেটারীর উদ্যোগে পরিচালিত তদন্তেও প্রমানিত হবে আমরা কোন অন্যায় করিনি। বরং সবাইকে সমানভাবে দেখেছি।
নির্বাহী মেয়ার আরো বলেন, আমি নিজেই প্রথমে কমিউনিটি সেক্রেটারী এরিক পিকলের কাছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চিঠি লিখেছি। কারন ইন্ডিপেন্ডেন্ট অডিটরের মাধ্যমে সত্য প্রমানিত হলে, আমাদের সবার জন্য ভালো এবং এ নিয়ে আর বিভ্রান্তির সুযোগ থাকবেনা। কাউন্সিলও বিখ্যাত স্বাধীন অডিটিং ফার্ম কেপিএমজি-কে দিয়ে আমাদের আর্থিক কার্যক্রমকে অডিট করিয়েছে। এই অডিট একাধিক ক্যাবিনেট মিটিং,ওভারভিউ এন্ড স্কুটিনি কমিটি মিটিং এবং গ্রান্টস প্যানেল মিটিং-এতোকিছুর পর গ্রান্টস প্রদানে অন্যায় অসমতার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়ার গ্র“প তথা টাওয়ার হ্যামলেটস ফাস্ট এর কাউন্সিলার ওহিদ আহমদ বলেন, কাউন্সিলের আর্থিক ব্যবস্থাপনা খুবই সুসংহত এবং যথাযথ নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালিত। এই কিছুদিন আগে আমরা প্রক্রোরম্যান্ট প্রসেসের জন্য জাতীয় এওয়ার্ড পেয়েছি।