জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলার পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় এবং এতে বাদীর কোনো ক্ষতি না হওয়ায় সোমবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন।
জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রওশন আরা শিকদার ডেইজি সোমবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আরেফিনের আদালতে দায়ের করা মামলাটি শুনানি শেষে আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে বিকেলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলা, গোপালগঞ্জের নাম বদলানোর হুমকি এবং মিথ্যা জন্মদিন পালনের অভিযোগে বাদী এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ বলা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ অহংকার স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীরউত্তম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সেখানে জিয়াউর রহমানকে দেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করেছেন। এছাড়া গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তিনি গোপালগঞ্জের নাম বদলে ফেলার হুমকি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করেছেন। মামলায় খালেদা জিয়া দিনাজপুর গার্লস হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ও পরীক্ষায় তার রোল নং ছিল- এ-৯৭২ এবং তার জন্ম তারিখ ৫/৯/১৯৪৬ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এটা জি ভয় দেখানোর জন্য মামলা করলো না কি ভয় পেয়ে মামলা খারিজ করে দিল কিন্তু না কি দুটাই ঘটেছে।