ইব্রাহিম খলিল: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করেছেন। একই সাথে তিনি বললেন, ইতিহাসের মতে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক।এ নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীণতার ঘোষনা তৎক্ষালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ জন্য ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান এই ঘোষনা দিয়ে জাতিকে মুক্তি সংগ্রামের দিকে দাবিত করেছিলেন। এই ঘোষনা কারো প্রেরিত বার্তা ছিলোনা বরং জিয়াউর রহমানের নিজের লিখা বার্তা ছিলো বলেও দাবি করেছেন তারেক রহমান।
র্পূব লন্ডনের অভিজাত হল রিজেন্সিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি সাইস্থা চৌধুরী কুদ্দুস। সাধারন সম্পাদক কয়সর এম আহমদের পরিচালনায় এতে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ মালিক, বিএনপির আর্ন্তজাতিক সম্পাদক মুহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধরান সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক আহবায়ক এম এ মালিক, সাবেক সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আখতার হোসেন টুটুল,যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাছিম আহমদ চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম প্রমুখ।
পুরো ১ ঘন্টা ৫ মিনিটের বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করা হয়েছে। তিনি দেশের রাজনীতির জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন। কিন্তুু আওয়ামীলীগের অতি রাজনীতির কারনে তিনি এখন বিতর্কিত । তার পিছনে অন্য কোন দল বা গোষ্ঠি নয় স্বয়ং আওয়ামী লীগই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দেশের এই ক্রান্তিকালে নেতাকর্মীদের আরো বেশী ত্যাগ স্বীকার করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হয়ে তারেক রহমান স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডনে নির্বাসনে আসেন। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে সমাবেশে অংশ নিলেন। অন্যান্য বার তিনি শান্তিপূর্ণ রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে কথা বললেও এবার সরাসরি বিতর্কে জড়ালেন স্বাধীনতার ঘোষণা ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে।