খালেদার উপস্থিতিতে মওদুদ-খোকার সুখনিদ্রা
‘অবৈধ’ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বার-বার জাতিকে জাগতে বলে নিজেরাই নাক ডেকে অথবা না-ডেকে ঘুমাতে ভালবাসেন বিএনপির নেতা-নেত্রীরা। এমনকী খোদ চেয়ারপারসনের ঝলমলে উপস্থিতিতেও। গতকালই এ দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসির কোলে ঢলে পড়েন বিএনপির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাদেক হোসেন খোকা।
খালেদা জিয়া বিকাল ৪টা উপস্থিত হওয়ার পর হাস্যোজ্জ্বল মুখে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করলেও অন্তত ৪০ মিনিট বিরতিহীন ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন মওদুদ আহমদ। মনোবিজ্ঞান মতে, এর চেয়েও কম সময়ের ঘুমে ভারতকে ইংরেজমুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন মহাত্মা গান্ধি। তখন সামনের দর্শকসারিতে চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমিয়েছেন সদ্য কারামুক্ত সাদেক হোসেন খোকা। তবে তিনি বিরতি দিয়ে-দিয়ে ঘুমিয়েছেন। প্রতিটি বিরতিতেই একবার করে ওইরকম স্বপ্ন দেখা যায়।
বিকাল ৪টা ১০ থেকে ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে পাশে রেখেই ঘুমিয়েছেন মওদুদ আহমদ। সাড়ে ৪টার দিকে তার প্রসঙ্গে আইনজীবী নেতা বোরহান বলছিলেন, মানুষকে জাগানোর (কথা বলার) কারণে মওদুদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সবাই মওদুদের দিকে তাকিয়ে দেখেন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মঞ্চে উপবিষ্ট খালেদা জিয়াও ঘাড় ঘুরিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পান। এরপর পাশের আসনে বসা অনুষ্ঠানের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে কিছু একটা বলেন তিনি। কী বলেন, তা তারা দুজনই জানেন।
আমরা চাই ঘুম ভেংগে এই অবধ্য শোইর শাষকের মুত্কীং|