বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে বলেছেন, ১৯৯১ সালেও বিদ্রোহ হয়েছিল। ওই সময় এর সঠিক বিচার করা হলে ২০০৯ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হতাহতের ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
রবিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
বিজিবির মহাপরিচালক জানান, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সীমান্তে মাত্র তিন জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৩ সালে ২৮ জন, ২০১২ সালে ৩৪ জন ও ২০১১ সালে ৩৯ জন নিহত হয়েছিল।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে পাচারের সময় ১৪৮ নারী ও ৫৪ শিশুকে আটক করা হয়েছে। তবে এ সময়ে মাত্র এক জন পাচারকারী বিজিবির হাতে ধরা পড়েছে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেব্রুয়ারি মাসে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আজিজ আহমেদ জানান, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অধিকার লঙ্ঘিত হয়, এ রকম ৫২ ঘটনায় ভারতের কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে দুই বাহিনীর যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। ২০১৩ সালে সাত হাজার ৪৯৫টি সমন্বিত টহল দেয়া হয়।
রোহিঙ্গা আটক সম্পর্কে বিজিবির মহাপরিচালক জানান, এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সীমান্তে ইয়াবা, ফেনসিডিল পাচার সম্পর্কে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তের চার পাশে ভারতের লিং রোড আছে। আমাদের নেই। এ কারণে এগুলো সামাল দেয়া আমাদের জন্য কঠিন।’ পাচারকারীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে একটা ঘটনার পর আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল। আমি বলেছি, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এসব কাজে যেই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
বিজিবির মহাপরিচালক জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪১টি বাড়িঘর, মন্দির ও ক্লাব পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে বিজিবি।