দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে আমেরিকার সেনা। প্রত্যক্ষ ভাবে তালেবান মোকাবিলার পাশাপাশি আফগান সেনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে তারা।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি অনুযায়ী, আফগান সেনাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থের সিংহ ভাগই খরচ হয়েছে প্রশিক্ষণ এবং সমরাস্ত্র কিনতে। সেই বিপুল অস্ত্রভান্ডার এখন তালেবানদের হাতে।
গবেষক ডক্টর ওয়াটলিং বলেন, যখন অস্ত্রের ব্যাপক সমারোহ থাকবে তখন আরও সশস্ত্র সংঘর্ষের সুযোগ থাকবে। অস্ত্রে ভর করে আরও ভয়ানক হতে পারে তালেবান। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে এটা দেখা যাবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আফগানিস্তান জুড়ে অস্ত্র ভাসছে। তালেবান যদি দেশের মানুষের দাবীকৃত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম না হয় তাহলে দেশটিতে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সকে ৬ লক্ষেরও বেশি হালকা বন্দুক-রাইফেল জাতীয় হালকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছিল আমেরিকা। ৮০ হাজারের বেশি যুদ্ধে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক মাইন প্রুফ গাড়ি পেয়েছিল তারা। এ ছাড়া নাইট ভিশন চশমা, ম্যানপ্যাক দিয়েছিল তারা।
এর পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে ২ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকা ৭ হাজার মেশিন গান, যে কোনও রাস্তায় চলতে পারে এমন ৪ হাজার ৭০০টি হামভি এবং ২০ হাজারের বেশি গ্রেনেড সরবরাহ করেছে আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে সবই এখন তালিবানের হাতে।
তবে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, তালেবানের হাতে বন্দুকের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় এমন যন্ত্র- থার্মাল ইমাজিং,নাইট ভিশন যন্ত্রপাতি যাওয়ার ফলে তারা নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকা কি নিজের দেওয়া সমরাস্ত্র ধ্বংস করতে বিশেষ কোনও অপারেশন চালাবে? উত্তর এখনও অজানা।