করোনার বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইতালি এবং ব্রাজিল। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে রাস্তায় লকডাউন বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুঁড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষুব্ধদের।
বিশ্বের অনেক দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ আছে। তবে তা আর মানতে রাজি নয় অনেকেই। ফ্রান্সে চলমান লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিল পাসে শনিবার দেশজুড়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। নতুন এই বিলের ফলে, রেস্টুরেন্ট এবং জনসমাগম স্থানে ভিড় কমতে সাহায্য করবে।
বিক্ষোভে হয়েছে ইতালিতেও। দেশটিতে ‘গ্রিন পাস’-এর বিরুদ্ধে রাজধানী রোম, নেপলস এবং তুরিনের মতো শহরের পথে পথে জড়ো হন হাজারো মানুষ। তাদের কণ্ঠে স্বাধীনতার স্লোগান শোনা যায়। সম্প্রতি ইতালিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলে ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সংক্রমণ এড়াতে সরকার আগামী ৬ আগস্ট থেকে রেস্টোরেন্ট, সিনেমা হল, ক্যাফেটেরিয়া, জিম ইত্যাদি জায়গায় প্রবেশে গ্রিন পাশের নিয়ম চালু করেছে। মূলত যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারাই এই সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। এর প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছে অনেকে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির প্রাণকেন্দ্রে লকডাউনের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করেন। শনিবার রাস্তায় নেমে তারা লকডাউন বিরোধী স্লোগান দেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় মাস্ক ছুঁড়ে ফেলেন। সিডনি ইউনিভার্সিটির ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তাদের লক্ষ্য ছিল, টাউন হলে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। তবে মাঝপথে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। মিছিলকারীরা পানির বোতল ও রাস্তার পাশ থেকে গাছ তুলে পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, লকডাউনে তারা কাজ করতে পারছে না। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘরবন্দি থাকায় মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে হাজার হাজার মানুষ রিও ডি জেনিরোর রাস্তায় নেমে লকডাউন প্রত্যাহার এবং ভ্যাকসিনের দাবিতে বিক্ষোভে করেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।