প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এই আসনভুক্ত এলাকা কঠোর বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের মাস্ক পরে ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে।
আজ শনিবার বেলা একটায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এসব কথা বলেন। এর আগে একই স্থানে বেলা ১১টা থেকে তিনি সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করেছিল। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এ সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বেলা একটা পর্যন্ত সভা চলে। সেখানে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভা শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট নগরের উপকণ্ঠে অবস্থিত তিন উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। ২৮ জুলাই এ আসনে ভোট গ্রহণ হবে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। কেন্দ্র ১৪৯টি। মাঠে প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।