বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুজন মন্ত্রী। তাঁদের ভাষ্য, তিনি (খালেদা জিয়া) যদি নির্বাচন চান, তাহলে তাঁকে ২০১৯ সাল পর্যস্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের দেওয়া প্রতিক্রিয়া ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এসব মন্তব্য করেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, এ সরকার অবৈধ নয়। বেগম খালেদা জিয়াই এখন অবৈধ। তিনি (খালেদা জিয়া) এ সরকারকে অবৈধ বললেও এ সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনের কথা ভাবছেন। আলোচনার কথা বলছেন। এ সরকার অবৈধ হলে তিনি কি অবৈধ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন?
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তাকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে কোনো আলোচনা হবে না।
আবারও খালেদা জিয়ার আলোচনা করার আগ্রহ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া কার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি তো এই সরকারকে অবৈধ সরকার বলছেন। তিনি আলোচনা চাইলে আগে তাঁকে এ সরকারকে বৈধতা দিতে হবে। এরপরই তার সঙ্গে আলোচনা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদাকে আগে কথা দিতে হবে। তিনি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করবেন। নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্র পরিহার করবেন। তারপর সরকারের বৈধতা স্বীকার করবেন। তাহলেই তাঁর সঙ্গে আলোচনা।
এর আগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একটি কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
থানা ও ওয়ার্ডের কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত
থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিল অবিলম্বে শেষ করে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি জরুরি বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অবিলম্বে সব থানা ও ওয়ার্ডের কাউন্সিল শেষ করে কমিটি দেওয়া হবে।
প্রায় সাড়ে নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনের পর মহানগরের অন্তর্গত ৯৩টি ওয়ার্ড, ১৮টি ইউনিয়ন ও ৪৯টি থানা কমিটি গঠন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সভায় বক্তব্য দেন।