রাজধানীতে সোমবার বিশাল সমাবেশ করল বিএনপি। এতে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল না। তবে এ কর্মসূচিতে ১৮ দলীয় জোটের বেশিরভাগ দলের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। জোট থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও শেষের দিকে তা দলীয় কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি।
গত ১৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ জানুয়ারির এ কর্মসূচি ১৮ দলের বলে উল্লেখ করা হয়। পরদিন পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ার পর এটি দলীয় কর্মসূচি বলে উল্লেখ করে বিএনপি।
সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। উত্তরে শাহবাগ শিশুপার্ক, পূর্বে শিল্পকলা একাডেমি, দক্ষিণে হাইকোর্টের সামনে পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়।
আগে ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সামনের দিকে দেখা যেত। ভোর থেকে তারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করত। সোমবারের কর্মসূচিতে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। বিএনপির জোটে জামায়াত থাকবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
জোটের বিগত সব কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার পরের আসনটি এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমেদের জন্য নির্ধারিত থাকতো। এরপরের আসনটি থাকতো জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতার জন্য। সোমবার ওই আসনে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ।
জোটের শরিক দলেগুলোর মধ্যে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, এলডিপির কর্ণেল অব. অলি আহম্মদ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির শেখ শওকত হোসেন নিলু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্তজা, ন্যাপের জেবেল রহমান গাণি প্রমুখ।