যে আসামির জামিন আবেদন একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট, সেই আসামিকেই অনেকটা গোপনে জামিন দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত। ইতোমধ্যে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সেই আসামি ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক
অর্থপাচার ও ঘুষ গ্রহণ মামলায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতের গলির বাসা থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এরপর একাধিকবার হাইকোর্ট জামিন চান সাবেক এই কারা কর্মকর্তা। তবে সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত।
তবে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে জামিন চাইতে আসেন পার্থ। দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। কিন্তু ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টায় তার জামিন আদেশ পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় কারাগারে। অথচ এ মামলায় দুদকের প্রধান কৌশলি জামিন আদেশ জানতে পারেন রাত ৯ টায়।
মামলা নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশনায় মনোযোগের বদলে দ্রুত এমন জামিন আদেশকে নজিরবিহীন বলছেন আইনজীবীরা।
দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শুনেছি পার্থ গোপালের জামিন হয়েছে। জামিন হয়ে গেলেতো বের হতে বাধা নেই।
পার্থ গোপালের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলছেন, আদালত সবকিছু নিয়ে বলেছে অর্ডারটা দিবো। এরপর আমি তাড়াতাড়ি চলে আসি। পরবর্তীতে শুনেছি তাকে মনে হয় জামিন দিয়েছে। তবে অর্ডার শীট আমি এখনও দেখি নাই, কনফার্ম না।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, উচ্চা আদালতের নির্দেশনাটা বাধ্যতামূলক নিচের আদালতের জন্যে। সেখানে নিম্ন আদালত জামিন দেওয়াটা একটু অন্যরকম।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সাবেক কারা পরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত এই অর্থের হিসেব ও তথ্য গোপন করে বিদেশে পাচারের জন্য নিজ বাসস্থানে রেখেছিলেন। যা অর্থ পাচার আইনে শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
London Bangla A Force for the community…
