ব্রেকিং নিউজ
Home / রাজনীতি / ‘কাটা-ছেঁড়া সংবিধানকেও আ.লীগের লঙ্ঘন’

‘কাটা-ছেঁড়া সংবিধানকেও আ.লীগের লঙ্ঘন’

61840_1ক্ষমতাসীন সরকার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে যে সংবিধানকে যথেচ্ছা কাটা-ছেঁড়া করে জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে- তাও আজ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার হীন লক্ষ্য পূরনের জন্য যে সংবিধানকে যথেচ্ছা কাটা-ছেঁড়া করে জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে- তাও আজ অমান্য ও অগ্রাহ্য করা হলো। ক্ষমতায় টিকে থাকার অদম্য লালসা কোনো ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিবর্গকে যে কতটা নীচে নামতে পারে, কতটা স্বৈরাচারী, কতটা রাজ-রাণী সুলভ বানাতে পারে, তার প্রমাণ দেখে দেশের সচেতন জনগণ হতবাক হয়ে গেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে যারা জাতীয় সংসদে একদলীয় স্বৈরশাসন বাকশাল ব্যবস্থা অনুমোদন করেছিল- ৩৫ বছর পর আজ আবার তাদেরই যোগ্য উত্তরসুরীরা সংসদ ভবনেই স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অগ্রাহ্য করেছে। উদ্দেশ্য উভয় ক্ষেত্রে অভিন্ন- ক্ষমতাকে কুক্ষিগত ও চিরস্থায়ী করা। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গণবিচ্ছিন্ন ক্ষমতাসীন সরকার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে ১৫৩ জনকে কোনো ভোট ছাড়াই মনোনীত করার প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে। ভোটার বিহীন নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে অবশিষ্ট ১৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৩৯ জনকে নির্বাচিত দেখিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবহ এবং এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নতজানু নির্বাচন কমিশন। তথাকথিত এই নির্বাচনী প্রহসনকে বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য দেখানোর জন্য গায়েবী ভোটারদের একটা কাল্পনিক হিসাবও প্রকাশ করা হয়েছে- যা দেশ-বিদেশের কেউই বিশ্বাস করেনি। সরকারের পছন্দের স্থানীয় পর্যাবেক্ষকরাও এই হিসাবকে অতিরঞ্জিত তথা বানোয়াট বলেছে।’

সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংসদের মেয়াদকালীন সময়ে পুনরায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কয়েক দিনের জন্য হলেও দেশের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় দুইজন করে নির্বাচিত সদস্য থাকার মতো অঘটন যাতে না ঘটে সে জন্য একই অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে- “তবে শর্ত থাকে যে এই দফায় (ক) উপদফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপদফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য রূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।” অর্থাৎ ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে নির্বাচিত বলে কথিত কোনো ব্যক্তি সংবিধানের এই বিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারি- অর্থাৎ বর্তমান সংসদের মেয়াদ উর্ত্তীণ না হওয়া পর্যন্ত কার্যভার নিতে পারেন না। অথচ আজ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে তারা কার্যভার গ্রহণ করেছেন। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ।’