সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী সাবানা খাতুন। পরকীয়া প্রেমিক আনোয়ার হোসেনও দুই সন্তানের জনক।
তাড়াশ পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামে আনোয়ারের বাড়িতে এ অনশন চলছে।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক আনোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি কাউরাইল বাজারে দর্জির দোকানে কাজ করেন। একই দোকানে কাজ করতেন সাবানা। এ সুবাদে কাউরাইল গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী সাবানা খাতুনের (৩২) সাথে পাঁচ বছর আগে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর আনোয়ার হোসেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাবানার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান।
দুই সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে এখন বিয়ের দাবিতে অনশনরত সাবানা খাতুন অভিযোগ করেন, পাঁচ বছর ধরে আনোয়ার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন। বিয়ের কথা বলায় এখন তিনি পালিয়েছেন।
সাবানার ছোট ভাই ফজলুল হক জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার আমার বোন কাউরাইল বাজারে আনোয়ার হোসেনের দর্জির দোকানে কাজ করতে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা তার খোঁজ করেতে থাকি। পরে জানতে পারি আনোয়ারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার বোনকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। আনোয়ারের ছোট ভাই আনিছ বারবার পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ইজ্জতের মূল্য তো আর টাকা দিয়ে পূরণ হয় না।
এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বলেন, ঘটনার সত্যতা জানা ও মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে