তারাপুর চা-বাগানে দুই সপ্তাহ থেকে মজুরি পাচ্ছেন না চা-শ্রমিকরা। পাওনা টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকরা বন্ধ রেখেছেন বাগান থেকে চা-পাতা উত্তোলন।
রবিবার (২২ মে) তারাপুর চা-বাগানে সকাল থেকে কর্মবিরতি ও বিক্ষাভ করেন শ্রমিকরা।
বাগানে বিক্ষোভ শেষে ৯ দফা দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন তারাপুর চা-বাগানের শ্রমিকদের পক্ষে ভেলী’র সভাপতি রাজু গোয়ালা, তারাপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী, সহসভাপতি মমতা রায়, তারনী মোদী, গীতা হাওলাদার, রীনা মোদী, বেলী রায়, বিনতা মোদী, সাধারণ সম্পাদক সুনিল মোদী, অর্থসম্পাদক রঞ্জন মোদী তারাপুর দুর্গা মান্ডব পূজা কমিটির সভাপতি সমর রায়, তারাপুর চা-বাগান ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য সঙ্গীত রায়, সহসভাপতি গীতা ।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বংশানুক্রমে তারা তারাপুর চা-বাগানে চা-পাতা উত্তোলনের কাজ করে আসছেন। বাগানের মালিকানা সংক্রান্ত নানা জটিলতা ও মামলা মকদ্দমায় সম্প্রতি বাগান কর্তৃপক্ষের ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে একটি কমিটি বাগানটি পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে তারা ঘামঝরা মেহনতের মজুরি পাচ্ছেন না।
স্মারকলিপিতি আরো উলেখ করা হয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ পাওয় ১ হাজার টাকা দেয়ার কারণে তারা কোনোও রকমে ছেলে-সন্তান নিয়ে দিনানিপাত করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পাওয়ার কারণে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়মিত তলবের টাকা দিচ্ছেন না। এই অবস্থায় তারা না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের নিকট দেওয়া ৯ দফা দাবিগুলোর মধ্যে হলো:
১. কাচা ঘরকে পাকা দ্রুত বাস্তবায়ন করা। ২. বাগানে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। ৩. বাগানের চতুর্দিকে গার্ডওয়াল গেইট দিতে হবে। ৪. বাগানের জন্য ট্রাক্টর প্রয়োজন। ৫. বাগানের ভিতর যেকোন ধরনের প্রশাসন যদি প্রবেশ করে তাহালে ম্যানেজম্যান্ট ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না। ৬. প্রত্যোক পাড়ায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা। ৭. প্রতি পাড়ায় ডিপ কলের ব্যবস্থা করা। ৮. ২০১৯ ও ২০২০ সালের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের পরিশোধ করা। ৯. বাগানের ভিতের জোর জবরদস্তি করে জায়গা দখল করে আসছে যারা তা বন্ধ করা।