দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়ার দুইদিন আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছে সরকার! ওই তালিকায় উল্লেখ আছে, কোন প্রার্থী পাশ করবেন, আর কে পাশ করবেন না। তালিকা অনুযায়ী আজ রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনে কোন আসনে কে বিজয়ী হয়েছেন, এ তথ্য প্রচার করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে অংশ নেয়া বারোটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কোন দলের কোন প্রার্থীকে কোন আসনে ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করতে হবে, এর উল্লেখ আছে আওয়ামী লীগের ওই তালিকায়!
আওয়ামী লীগের পক্ষে ওই তালিকা ইসির কর্মকর্তাদের কাছে দুইদিন আগে পাঠান দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে এরকম গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ গুজব কারা ছড়াচ্ছেন, এর উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গুজববাজরা বলছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আজ রোববার ভোট নেয়ার কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ ওই তালিকা করে নিয়েছে। তালিকাটি ইসির কাছে পাঠানো হয় দুইদিন আগে। ওই তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রায় সবাই আসন পাচ্ছেন। কোন দলকে কতো আসন দিলে কী সুবিধা, অসুবিধা হবে, এসব হিসাব করেই তালিকাটি তৈরি হয়েছে।
তালিকাটি তৈরি হয়েছে ১৪৭টি সংসদীয় আসন নিয়ে। কারণ, সারাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আজ রোববার ভোটের অনেক আগেই ১৫৩টি আসনের প্রার্থীরা বিজয়ী বনে গেছেন!
গুজববাজরা বলছেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোট এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়াসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। ভোটের আগে তালিকা তৈরি করে ভোটের দিন প্রকাশ করলেও তাতে কোনো সমস্যা হবে না। নির্বাচনে কোনো আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দি না থাকায় এ নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জও করবেন না।
গুজব রটনাকারীরা আরো বলছেন, তালিকায় এমন কয়েক প্রার্থীর নাম বিজয়ী হিসেবে আছে, দেখা যাবে তারা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদেরকে অনেক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করবেন। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, এটা বোঝানো। কেননা, সুষ্ঠু না হলে কি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হারতে পারেন?
This is Digital Election in Bangladesh.