করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত শেষ হওয়ার কড়াকড়ি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের অনেকের কাছেই ঈদের আনন্দ ছিল ম্লান।
গত বছর দুই ঈদে জামাত না হলেও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ির মধ্যেই আমিরাতের বিভিন্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত।
আগের দিন অর্থাৎ বুধবার থেকেই আরব আমিরাতে শুরু হয় টানা পাঁচদিনের ঈদের ছুটি। আবার একইদিন বাংলাদেশ,পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার।
যদিও এবার ঈদুল ফিতরের নামাজের অনুমতি আসায় প্রবাসীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ছিল।
রাজধানী আবুধাবিতে শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে এবং গ্রিন সিটি আল-আইনে শেখ খলিফা গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের মূল জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আমিরাতের ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’র তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাত আদায়ের জন্য অনুমোদিত মসজিদগুলোয় ১৫ মিনিটের মধ্যে নামাজ শেষ করা হয়।
৬০ বছরের বেশি বয়সের এবং ১২ বছরের নিচের বয়সীদের ঈদের জামাতে আসার নিষেধাজ্ঞা ছিল।
ঈদের দিন ও তার পরের দিন সাধারণত আবুধাবি, আল আইন, দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ,আজমান,ফুজেইরাহ এবং শিল্পনগরী মুসাফফাহর বাংলাদেশি অ্যাসেম্বলি পয়েন্টগুলো লোকে-লোকারণ্য তাকে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য কড়া নজরদারির মধ্যে থাকায় প্রবাসীদের মিলনমেলাগুলো জমে উঠছে না। সব ধরনের জমায়েতের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবারের ঈদে আমিরাতে প্রবাসীরা কার্যত ঘরবন্দি হয়ে আছেন।
সবার প্রত্যাশা অতিমারীর ক্রান্তি কেটে গেলে আবারো কোনও খুশির ঈদ আসবে, আর সে ঈদ নিয়ে আসবে সত্যিকার আনন্দ।