রমজান শেষে ফিলিস্তিনে পালন করা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ আদায়ে জেরুসালেমের মসজিদুল আকসায় সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লি।
এর আগে অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুলি বসতি স্থাপনে ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী। এই সকল হামলায় ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
নারী ও শিশুসহ সর্বস্তরের ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় ঈদের নামাজে অংশ নেন।
গত ২৫ এপ্রিল জেরুসালেমের ইসরাইলি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ছয় ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদ করে তাদের বাড়ি ইসরাইলি নাগরিকদের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। এতে করে ১০ শিশুসহ ৪০ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বাস করা ঠিকানা থেকে উচ্ছেদের শঙ্কায় রয়েছেন।
ফিলিস্তিনিরা ওই আদেশের প্রতিবাদে জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীর, গাজা ও ইসরাইলে বিক্ষোভ অনুষ্ঠান করে আসছেন।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর মসজিদুল আকসাসহ পুরো জেরুসালেম ইসরাইল দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিক আইনে অধিকৃত ভূমি হিসেবে বিবেচিত হলেও ইসরাইল শহরটিকে একীভূত করে নেয় এবং অখণ্ড জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। বিভিন্ন সময় শহরটিতে থাকা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইসরাইলি ইহুদিদের শহরে আবাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : আলজাজিরা