প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়ার আগের দিন আজ শনিবার রাতে তাদের মধ্যে টেলিফোনে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলাপ হয়।
টেলিফোনে আলাপকালে ভারতীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চান সজিব জয়ের কাছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সূত্র এসব তথ্য জানায়।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সূত্রের দেয়া তথ্যমতে, ‘আজ শনিবার রাত নয়টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের সঙ্গে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ফোনালাপ হয়। সালমান খুরশিদ আলাপকালে সজিব জয়কে জানান, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল সরকারের পক্ষে ভারত সরকারের সমর্থন আছে।’ উল্লেখ্য, সজিব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীরও উপদেষ্টা।
এর আগে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান খুরশিদ জানিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করবে।’
তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক, এটাই ভারতের চাওয়া। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সংঘাত, সহিংসতাকে প্রশ্রয় না দেয়ার ব্যাপারে আগের অবস্থানেই আছে ভারত সরকার।’ ‘ইন্ডিয়াস আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব বাংলাদেশ উয়িল হেল্প টু ইউএস’ শিরোনামে তার ওই সাক্ষাৎকার গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করে ‘দ্য হিন্দু’।
সালমান খুরশিদের ওই বক্তব্যে প্রতিক্রিয়াও জানায় বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান দলের পক্ষে এ বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।’ গত ১ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেলিমা রহমান এ মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের জোটকে ছাড়া আগামীকাল রোববার হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কমনওয়েলথ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, রাশিয়াসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। রাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।
সালমান খুরশিদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে কী না, কী বিষয়ে আলাপ করেছেন, এ ব্যাপারে সজিব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।