বিএনপি-জামায়াতের ভোট ঠেকানোর সামর্থ্য নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আগামীকাল নির্বাচন শতভাগ গ্রহণযোগ্য হবে।’
তিনি গতকাল বিকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপিকে বহুবার নির্বাচনে ডাকার পরও তারা সাড়া না দেয়ায় কিছুসংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ এবং আরও ১১টি দল অংশ নেয়ায় জনগণের কাছে এ নির্বাচন শতভাগ গ্রহণযোগ্য হবে।’
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের আর কোনো বিকল্প ছিল না বলেও মনে করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আগামীকাল সারাদেশে সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে। কেউ এ নির্বাচকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আর কেউ যদি তা প্রতিহত করার জন্য নাশকতার চেষ্টা করে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীরাও তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
এজন্য সকাল থেকেই প্রতিটা কেন্দ্রে আমাদের নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। খালেদা জিয়া একটি বার্তা দিয়ে ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তার ছেলে লন্ডন থেকে একটি ভিডিও বার্তায় বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার সম্পর্কে মিথ্যাচার ও নির্বাচন বানচালের জন্য সন্ত্রাসী জঙ্গিদের উসকানি দেয়ার চেষ্টা করেছেন।’
বিএনপি চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে মিলিতভাবে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বিপর্যস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ প্রক্রিয়া থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া গুলশানে তার নিজ বাসায় গৃহবন্দি নাকি অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি বা অবরুদ্ধ কোনোটিই নন। তিনি তার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ সঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তিনি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গেও সাক্ষাত্ করছেন। তিনি অবরুদ্ধ থাকলে এই সাক্ষাত্ করতে পারতেন না।’
এ সময় তিনি ভয়ভীতি ছাড়া জনগণকে স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় শেষ হওয়ার পরও আপনি ভোট চাইছেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনকালীন সরকারের শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কোনো নির্বাচনী সভা নয়। এতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দলীয় সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে ভোট চাইতেই পারি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।