সিমকী ইমাম খান‘আমি একজন নারী, একজন আইনজীবী—এসব না-হয় বাদই দিলাম। আমি তো একজন মানুষ। আমি বিএনপি করি। শুধু এই কারণে ২০ থেকে ২৫ জন পুরুষ আমার ওপর চড়াও হয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবী সিমকী ইমাম খান প্রথম আলোর কাছে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত ২৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই আইনজীবীর ওপর হামলা চালান।
সিমকী ইমাম জানালেন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হওয়ায় সেখান থেকে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটার পরও দেশের মানবাধিকারকর্মীরা নিশ্চুপ রয়েছেন। তবে দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদকের সঙ্গে সিমকী ইমামের কথা হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসায়। রোববারের ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে সিমকী ইমামের সারা শরীর। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেঁতলে গেছে। মাথার বিভিন্ন জায়গা ফুলে আছে।
সিমকী বলেন, ‘এর আগে আমি পুলিশের হাতে মার খেয়েছি। তবে এবারের মতো এত বীভৎস অভিজ্ঞতা হয়নি। চার মেয়ে এবং প্রকৌশলী স্বামীও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বারবার রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলছেন।’
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিমকী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ফটক আটকে দেয় পুলিশ। জলকামান আমাদের ভিজিয়ে দেয়। তারপর একসময় দেখি, ফটকের তালা খুলে শত শত লোক ধর ধর করে ভেতরে ঢুকে গেল। স্যান্ডেল ভেজা থাকায় ভালোভাবে দৌড়াতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে আমাকে ২০ থেকে ৩০ জন ধরে ফেলে দুই কান ধরে এলোপাতাড়ি লাথি, চড়, কিল, ঘুষি মারতে থাকল। আমার জামা ছিঁড়ে ফেলে। একেক জনের হাতে বড় বড় লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা। সেই লাঠি দিয়েই সমানে মারতে থাকে।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মেয়ে সিমকী জানান, তাঁর কানে অনেকগুলো ছোট দুল এবং গলায় একটি স্বর্ণের চেইন ছিল, তা নিয়ে যায়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে কয়েকজনের সহায়তায় সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে মিছিল সমাবেশ করা নিষিদ্ধ—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিমকী বলেন, ‘আমরা তো ভেতরে মিছিল সমাবেশ করতে চাইনি। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করার জন্য পল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। আবার পুলিশই আওয়ামী লীগের কর্মীদের তালা খুলে দেয় আমাদের মারার জন্য।’
এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করেননি বলে সিমকী জানান। সিমকী রাজনীতির পাশাপাশি মুন ড্রপ এস্টেট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনসালট্যান্ট লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
প্রথম আলোর প্রতিবেদকের সঙ্গে সিমকী ইমামের কথা হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসায়। রোববারের ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে সিমকী ইমামের সারা শরীর। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেঁতলে গেছে। মাথার বিভিন্ন জায়গা ফুলে আছে।
সিমকী বলেন, ‘এর আগে আমি পুলিশের হাতে মার খেয়েছি। তবে এবারের মতো এত বীভৎস অভিজ্ঞতা হয়নি। চার মেয়ে এবং প্রকৌশলী স্বামীও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বারবার রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলছেন।’
সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিমকী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ফটক আটকে দেয় পুলিশ। জলকামান আমাদের ভিজিয়ে দেয়। তারপর একসময় দেখি, ফটকের তালা খুলে শত শত লোক ধর ধর করে ভেতরে ঢুকে গেল। স্যান্ডেল ভেজা থাকায় ভালোভাবে দৌড়াতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে আমাকে ২০ থেকে ৩০ জন ধরে ফেলে দুই কান ধরে এলোপাতাড়ি লাথি, চড়, কিল, ঘুষি মারতে থাকল। আমার জামা ছিঁড়ে ফেলে। একেক জনের হাতে বড় বড় লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা। সেই লাঠি দিয়েই সমানে মারতে থাকে।’
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মেয়ে সিমকী জানান, তাঁর কানে অনেকগুলো ছোট দুল এবং গলায় একটি স্বর্ণের চেইন ছিল, তা নিয়ে যায়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে কয়েকজনের সহায়তায় সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে মিছিল সমাবেশ করা নিষিদ্ধ—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিমকী বলেন, ‘আমরা তো ভেতরে মিছিল সমাবেশ করতে চাইনি। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করার জন্য পল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। আবার পুলিশই আওয়ামী লীগের কর্মীদের তালা খুলে দেয় আমাদের মারার জন্য।’
এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করেননি বলে সিমকী জানান। সিমকী রাজনীতির পাশাপাশি মুন ড্রপ এস্টেট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনসালট্যান্ট লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
উৎসঃ prothom-alo
Dukhkh Jon OK.
Very said