তিস্তার পানি বন্টন এবং তিস্তা নদীর একাধিক বাঁধ নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে ভারতের পরিবেশবিদ স্বরুপ সাহা এ মন্তব্য করেছেন।
এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে দর্শক সারোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, তিস্তার অতিরিক্ত বাঁধ দুই দেশের মানুষেরই ক্ষতির কারণ তা প্রতিবেদনে স্পষ্ট। তিস্তা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতা অযথা জল ঘোলা করছে, আশাকরি ভারতবাসী তা বুঝতে পারবে।’
ভারতের পরিবেশবিদের একথার জের ধরে জাকির আল ফারুকী লিখেছেন, ‘তিনি ভালো বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে মারতে গিয়ে আমরা মরে যাচ্ছি’ মোদি, আর এস এস আর বিজেপি কবে বুঝবে? ফারাক্কা, তিস্তা, গাজলডোবা বাংলাদেশকে মারার কল, তবে সেই কলে এখন তারাও মরছে’।
এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ভারতীয় তন্ময় চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশ চীনের বাঁধ নির্মাণ প্রস্তাব গ্রহণ করলে ক্ষতি হবে লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর। তাই এখনই মমতা পিসি ( পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মাথায় সুবুদ্ধি আসা উচিত।’
তিস্তা নিয়ে উভয় দেশের সরকার সম্মিলিত হয়ে ভালো একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করলে উভয় দেশের মানুষই লাভবান হতে পারে। আর সাধারণ মানুষ তা আশাও করেন। তিস্তার পানি নিয়ে ভারত যতটা না সাম্প্রদায়িক, তারচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক মমতা ব্যানার্জি।