দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য দুই নেত্রীকে দায়ী করে তাদের বাদ দিয়ে একজন নেতার প্রত্যাশা করেছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিতের পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়া এইচ এম এরশাদ আমলের অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান।
“সবাই বলছে, নির্বাচন পিছিয়ে দিন। কিন্তু আওয়ামী নির্বাচন না পেছাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এটা সিলেকশনের চেয়েও খারাপ। দুই নেত্রী একে অন্যকে দেখতে পারেন না। একজন আরেকজনকে সম্বোধনও করেন না। নেত্রী নয় নেতা দরকার।”
গত শনিবার নাগরিক সমাজের এক সভায় দুই নেত্রীর বিভিন্ন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে মত দিলে তার প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, বিশিষ্টজনরা অসাংবিধানিক পন্থা চাইছেন।
ব্যারিস্টার রফিক বলেন, “এমন পদ্ধতি করতে হবে, যেন দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি থাকলে, নির্বাচন অবশ্যই পেছাতে হবে।”
বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের বিভিন্ন পরামর্শের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমাদের এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিদেশীরা এখানে এসে নির্দেশনা দিলে আমাদের গলায় দড়ি দেয়া উচিত।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেয়াও সমালোচনা করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
“এই মার্চ ফর ডেকোক্রেসি করতে দিলে কী হত। এটা করা কোনো অপরাধ না। কী অদ্ভুত বিষয়, বালির ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে দেয়া হয়েছে। এটা নাকি গণতন্ত্র। এটাই যদি গণন্ত্র হয়, তাহল এমন গণতন্ত্র আমরা চাই না।”
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে রোববারের সংঘাতের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে ব্যারিস্টার রফিক বলেন, “এখন তো মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাই। এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি যদি এই নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।”
“সুপ্রিম কোর্ট তো শেষ। বারোটা বেজে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের জানাজা হয়ে গেছে,” বলেন তিনি।
nice Rafique sir.