নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে নারী নিয়ে অবস্থান করার ঘটনায় বিতর্কে পড়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। হেফাজত নেতার এমন ঘটনা এবং হেফাজতের সাম্প্রতিক তাণ্ডব নিয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধরা পড়লো। তা ঢাকার নানা রকম চেষ্টা করেছে তারা। পার্লারে কাজ করা এক নারীকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়। আবার নিজের বউয়ের কাছে বলে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটা বলেছি। যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে তারা এরকম মিথ্যা কথা বলতে পারে, অসত্য কথা বলতে পারে? তারা কী ধর্ম পালন করবে, মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে?’
রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনের সমাপ্তি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
রিসোর্টে হেফাজতের ভাঙচুরের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদের চরিত্রটা কী তা বলতে চাই না। গতকালই আপনারা দেখেছেন। ধর্ম ও পবিত্রতার কথা বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়ে।’
‘কয়েকদিন আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, এখন সুন্দরী নারী নিয়ে বিনোদন করতে গেলেন। ইসলাম পবিত্র ধর্ম, সেই পবিত্র ধর্মকে এরা কলুষিত করছে। বিনোদনের এসব অর্থ আসে কোথা থেকে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি তখন এসব ঘটনা ঘটানো হলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এত বড় একটা সম্মান, বিভিন্ন দেশের অতিথিরা আসছেন, শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসা বিরোধিতা করে তারা। আজ হেফাজতে ইসলাম এটা করছে তারা দেওবন্দ (ভারতে) যায় না? এসব ঘটনা ঘটনা ঘটালো দেওবন্দ যাবে কী করে। আমরা কওমি মাদ্রাসার সনদ দিয়েছি, আমরা সম্মান দিচ্ছি তারপরও তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটালো কী করে। এদের কোনো রাজনৈতিক কোনো আদর্শ নেই, কোনো আদর্শ নিয়ে এরা চলে না।’