ব্রেকিং নিউজ
Home / মতামত / বিয়ানীবাজার শেওলা সেতু টোল এবং আমাদের জনপ্রতিনিধি প্রসঙ্গে

বিয়ানীবাজার শেওলা সেতু টোল এবং আমাদের জনপ্রতিনিধি প্রসঙ্গে

সাধারণত বাংলাদেশের আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলা আমার চিরাচরিত অভ্যাস নয়। কিন্তু কোনো প্রসঙগ যদি সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার দাবী রাখে তখন নিজের দায়িত্বববোধ থেকে কথা না বললে নিজেকে দায়িত্বহীন মনে হয়।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক অনলাইন টিভি চ্যানেল (এলবি টিভি) এর সাহিদুর রহমান সুহেলের উপস্থাপনায় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “সময়ের ভাবনা”য় শেওলা সেতু টোল এবং আমাদের বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের (সিলেট-৬) মাননীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। যে কোনো সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব সড়ক-পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সেতুর টোল আদায় কতদিন হবে সেটা দেখভাল করা স্থানীয় সংসদ সদস্যের দায়িত্ব বৈকি। আমরা জানি, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেকগুলো সেতু রয়েছে যেগুলো থেকে কোনো টোল আদায় করা হয় না। শেওলা সেতুতে গত একুশ বছর ধরে টোল আদায় করা হচ্ছে; আমরা সাধারণ জনগণ টোল দিয়েও যাচ্ছি।

বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সরকারী কার্যক্রম সবসময়ই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। যার প্রমাণ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা অকপটে জনসাধারণের সামনে খোলাখুলি স্বীকারও করেছেন।

স্বজনপ্রীতি, দলীয় রাজনীতি, আঞ্চলিকতা এগুলো যুগযুগ ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজ-ব্যবস্থায় বিদ্যমান। শেওলা সেতুর টোল বরাদ্দ নিয়ে যে স্বজনপ্রীতি এবং আঞ্চলিকতার অভিযোগ আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যের দিকে ইংগিত করা হয়েছে, আমরা আশা করবো মাননীয় সংসদ সদস্য (সিলেট-৬) তাঁর অবস্থান জনসাধারণের কাছে নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে পরিষ্কার করবেন। কারণ, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী; যেখানে কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং আঞ্চলিকতা- কোনোটির স্থান নেই।

মুহাম্মদ নজরুল হক
বার্মিংহাম,ইংল্যান্ড