বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বা ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’র খবর সংগ্রহ করতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আগের রাত থেকেই ভীড় করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে কার্যালয়ে নেই কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থক। প্রধান গেইটে ঝুলছে তালা। কার্যালয়ের সম্মুখভাগ ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মসূচিকে ঘিরে কার্যালয়ের দিকে তাদের রয়েছে কঠোর নজরদারি। এছাড়া সার্বক্ষণিক সংবাদ সংগ্রহের জন্য কার্যালয় প্রাঙ্গণে রয়েছে অসংখ্য সংবাদকর্মী।
দেখা গেছে, ১৮ দলের রোববারের কর্মসূচি এখনো অনিশ্চিয়তার মধ্যে থাকলেও তার খবর সরাসরি সম্প্রচার করতে ইলেক্ট্রনিক মিয়াগুলোরকর্মীদের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। রাত জেগে যান্ত্রিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তারা। একই সঙ্গে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ারকর্মীদেরও ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানীজুড়ে র্যাব পুলিশের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর চলছে যৌথবাহিনীর টহল। বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, মেস ও বাসা-বাড়িতেও চলছে ব্যাপক তল্লাশি।
শনিবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, ফকিরেরপুল, দৈনিক বাংলা, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, মতিঝিল, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবড়ী, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলীসহ বিভিন্ন সড়কে একাধিক চেকপোস্ট বসিয়েও তল্লাশি চলছে। এ থেকে বাদ পড়ছে না সাংবাদিকসহ সরকার দলের সমর্থকরাও। পাশাপাশি চলছে গ্রেপ্তারও।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঘটতে পারে। এজন্য সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসা ও তল্লাশি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে আমরা একটি বিশাল তালিকা নিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। এজন্য সন্দেহভাজন এলাকা ও স্থানগুলোতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।’
সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের সংখ্যাও সেখানে বেড়ে যায়।
এদিকে সকাল ১০টা থেকে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত সেখানে ১৮ দলের কোনো নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। দেখা যায়নি কোনো ধরণের মঞ্চ তৈরির তৎপরতাও। সার্বিক পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে আছে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে ঘিরে কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।