মিল্টন রহমান: দেশ থেকে বাংলাদেশ বিমান লন্ডনের পথে আবার যাত্রা শুরু করেছে রবিবার(২১ জুন)। দেশ থেকে আসার সময় পুরো বিমান যাত্রী ছিলো প্রায় ২৭৫ জন। ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী ছিলো মাত্র ৪৫ জনের মতো। করোনা সংকটে স্বাভাবিকভাবেই কেউ এখন দেশে যেতে চাইবে না। তবে দেশ থেকে এতো যাত্রী কারা আসছেন লন্ডনে? যারা আটকে ছিলেন তাদের জন্য এর আগেও কয়েকটি ফ্লাইট ছিলো। তাহলে রবিবারের ফ্লাইটে এতো যাত্রী কারা ছিলেন?
জেনেছি প্রথম দিনের ফ্লাইটেই লন্ডনে এসেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। জানলাম তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনের এসেছেন। এসেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এডিশনাল সেক্রেটারী শেখ আহমদ হোসেন। শুনেছি তিনি নাকি ব্রিটিশ নাগরিক। তাই ঘুরতে এসেছেন। যদিও চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে এনবিআর এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা উচিত। এ অবস্থায় দায়িত্বশীল কেউ দফতর ছেড়ে বেড়াতে বের হয়ে যাওয়াটা উচিত নয় নিশ্চয়। তিনি দফতর থেকে এ মুহুর্তে লন্ডনে আসার অনুমতিইবা পেলেন কি করে বুঝা মুষ্কিল। এছাড়া রবিবার বিমানে এসেছেন একজন এমপি পুত্রসহ আরো বেশ কয়েকজন ভিআইপি।
প্রতি রবিবার দেশ থেকে এখন বিমান আসবে যাবে লন্ডনে। এ সুযোগ নিয়ে দেশ থেকে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা যদি লন্ডনে এসে ভীড় করেন তাহলে পরিস্থিতি কি হতে পারে। এ দৃশ্যটি আমি কল্পনা করলাম মাত্র। কারণ এ কল্পনা বাস্তবে রূপ নিবে এ আশংকা আমার শতভাগ। তাই সরকারের উচিত হবে এ মুহুর্তে কোন এমপি-মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, আমলা কাউকে দেশ থেকে বের হওয়ার অনুমতি না দেয়া। তাছাড়া লন্ডন এখনো পুরোপুরি সচল নয়। রাজনীতিকরা এসে কি করবেন। এখানে কলুর বলদরাও (শব্দটি ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেছি। লন্ডনে যারা রাজনীতি করেন, নিজের পকেটের পয়সা খরচ করেই করেন।)
এখন আর সমাবেশ করে তাদের মনোরঞ্জন করতে পারবে না।