সাহিদুর রহমান সুহেল : যদিও আমি গণিতের ছাএ নয় তবুও গাণিতিক ভাবে যদি শুরু করি,একেক জায়গায় যদি সংগঠন কম করে হলেও এিশটা থাকে সেখানে একেকটি সংগঠনের সভাপতি,সম্পাদক,কোষাধক্ষ্য এবং সাংগঠনিক সম্পাদক উপস্হিত হলে সে জায়গায় একশত বিশ জন লোকের সমাগম হতো । মনে করে নিলাম সংগঠনের বাকি পদ গুলো পদ লোভীদের বিরিয়ানির ঘি’তে মজতে চায়না ।তবুও এই চার পদের সবাই উপস্হিত হলে পদ-প্রিস্ট হয়ে করোনা ভাইরাস কচুরিপানা ফুল দিয়ে বলতো ধন্য হে ! সংগঠক !!!!
আশাবাদী এ জন্য যে,যখন উপস্হিতি থেকে সংগঠন গুলো বেশী হওয়ায় সংগঠনের দশ ফুট ব্যানার উওোলনে এক-দুজন হিমশিম খাচ্ছেন তখন অন্য সংগঠনের সদস্যরা ব্যনার ধরা,পুষপমাল্য বহন আর ফটো তুলার ক্যামেরার ফ্রেম পরিপূর্ন করতে একে-অপরের সহযোগিতায় আমি মুগ্ধ ।তবে বেচারা বড় অসহায় যে শুধু দেশকে ভালোবেসে উপস্হিত হয় কিন্তু ,সংগঠনের মালিকদের ফটো তুলে দেয়ার মহত কাজে সে ভুলে যায় শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়া তার আরেকটি কাজ বাকি ।
সেদিনই আমি অন্তর থেকে অনুভব করি কমিউনিটির নেতারা একেকজন আট/দশটা দোকানের মালিক হয়ে আমাদেরকে কি সেবাই না দিয়ে যাচ্ছেন !! অন্তত ঐ একটি দিন নাম সর্বস্ব সংগঠন গুলো মরুভূমির এক ফসলা বিষ্টি পেয়ে পুর্নজনম পায় ।
এই বিলেতে জুতা ক্যামেরার আঘাত পেতে পেতে এখন আর জুতা শহীদ বেদীতে ওটেনা । সব প্রাপ্তির মাধ্যে এটাই সেরা প্রাপ্তি ।
এবার দেশ প্রেমিক নেতাদের শহীদ বেদী থেকে বাড়ী ফেরার পালা,বউয়ের লিষ্ট নিয়ে পাকিস্তানী দোকানে গিয়ে “ভাইয়া মোজে এক পাউন্ডকা পান দে দেও”। ঘরে ফিরে সারাদিনের ভাষা শহীদের কথামালায় শুকনো গলায় চায়ের চুমুকে রিমট কন্ট্রোল হাতে নিয়ে হিন্দি সিরিয়ালে মন দিয়ে “পাখি”চরিএে মনোনিবেষ ।ছেলে-মেয়ের সাথে একটু আগের সালাম,রফিকের অ আ ক খ ভাষার বদলে ABC ভাষায় কথা বলে ইংরেজী ভাষার পারদশীতায় প্রতিযোগিতায় মত্ত ।
পরিশেষে বলতে চাই,আজকাল দীর্ঘনিশ্বাস আমার আপন হয়ে গেছে। অবচেতনে আসছে। অযথাই। হুদাই। অর জানা হলো না। দূর হো। দূরে থাক। অসহ্য।
প্রত্যেক বড়’র ‘বড়’ থাকে। ঠিক প্রত্যেক ছোট’রও ‘ছোট’ থাকে ।