ব্রেকিং নিউজ
Home / খেলাধুলা / খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন যুবারা

খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন যুবারা

রবি বিষ্ণুইয়ের লেগ স্পিনে দিশা হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ক্র্যাম্পের জন্য মাঝপথে মাঠ ছাড়া পারভেজ হোসেন ফিরে খেললেন বীরত্বপূর্ণ এক ইনিংস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে দলকে টানলেন আকবর আলী। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। জিতল যুব বিশ্বকাপ।

রবি বিষ্ণুইয়ের লেগ স্পিনে দিশা হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ক্র্যাম্পের জন্য মাঝপথে মাঠ ছাড়া পারভেজ হোসেন ফিরে খেললেন বীরত্বপূর্ণ এক ইনিংস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে দলকে টানলেন আকবর আলী। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। জিতল যুব বিশ্বকাপ।
বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা

প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করল বাংলাদেশ। হারিয়ে দিল শক্তিশালী ভারতকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আকবর আলিরা ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে ৩ উইকেটে।

বৃষ্টির পর নতুন করে খেলা শুরু হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫ ওভারে ৭ রান। ১ ওভার ১ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সাওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*; শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০)

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: (লক্ষ্য ৪৬ ওভারে ১৭০) ৪২.১ ওভারে ১৭০/৭ (পারভেজ ৪৭, তানজিদ ১৭, মাহমুদুল ৮, হৃদয় ০, শাহাদাত ১, আকবর ৪৩*, শামীম ৭, অভিষেক ৫, রকিবুল ৯*; কার্তিক ১০-২-৩৩-০, সুশান্ত ৭-০-২৫-২, আকাশ ৮-১-৩৩-০, বিষ্ণুই ১০-৩-৩০-৪, আনকোলেকার ৪.১-০-২২-০, জয়সওয়াল ৩-০-১৫-১)

ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী

৫ ওভারে ৭ রান চাই বাংলাদেশের

বৃষ্টিতে কমেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৬ ওভারে ১৭০ রানের লক্ষ্য। ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান করা দলটির শেষ ৫ ওভারে চাই ৭ রান।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। শেষ ৯ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫ রান।

৪১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৩/৭। ডাকওয়ার্থ লুইসে এই সময় তাদের প্রয়োজন ১৪৭ রান। ১৬ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।

বীরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফিরলেন পারভেজ

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলছিলেন পারভেজ হোসেন। আকবর আলীর সঙ্গে গড়েন চমৎকার একটা জুটি। রবি বিষ্ণুইয়ের দুটি ওভার খেলে দলে এনেছিলেন স্বস্তি। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দিলেন যাশাসবি জয়সাওয়াল।

৭৯ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করেন পারভেজ হোসেন। ৩২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৩/৭। ক্রিজে রকিবুল হাসানের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম। জয়ের জন্য শেষ ১৮ ওভারে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।

দৃষ্টিকটু আউট অভিষেক

বিনা উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশের সংগ্রহ। একশ রান করেছে ছয় উইকেটে।

সুশান্ত শর্মার এক ওভারে দুইবার জীবন পেয়েও শিখেননি অভিষেক দাস। সেই ওভারেই অহেতুক চড়াও হয়ে গিয়ে বিলিয়ে এসেছেন নিজের উইকেট। ম্যাচে আরেকটু দৃঢ় হয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণ।

২৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৬। আকবরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের এটাই শেষ জুটি।

উইকেট ছুড়ে এলেন শামীম

দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর সবে গড়ে উঠছিল একটা জুটি। সেটাকে পূর্ণতা দিতে পারলেন না শামীম হোসেন। অহেতুক শট খেলে ফিরে গেলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

বাজে এক বলে উইকেট পেলেন সুশান্ত মিশ্র। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে শর্ট বল যে কোনো জায়গায় পাঠানো যেত, শামীম পাঠালেন ফিল্ডার যাশাসবি জয়সাওয়ালের হাতে। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।

১৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেন শামীম। ২১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৫/৫। ক্রিজে আকবর আলীর সঙ্গী অলরাউন্ডার অভিষেক দাস।

বিষ্ণুইয়ের চতুর্থ শিকার শাহাদাত

রবি বিষ্ণুইয়ের জবাব যেন খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দলের বিপদ বাড়িয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেলেন শাহাদাত হোসেন।

পা বাড়িয়ে খেলেছিলেন শাহাদাত। খেলার সময় পা একটু বেরিয়ে গিয়েছিল। গড়িয়ে আসা বল ধরে বেলস ফেলে দেন ধ্রুব জুরেল।

১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/৪। ক্রিজে আকবর আলীর সঙ্গী শামীম হোসেন।