ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / মিয়ানমার কারও কথা শুনছে না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমার কারও কথা শুনছে না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী

নিরাপদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এজন্য কাউকে দোষ দিতে নারাজ তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার কারও কথাই শুনছে না। সাক্ষাৎকারে, প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার আলামত। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতেও কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সু চি’র নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার। বরং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার কোনও অগ্রগতি না হওয়ার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছেন। এমন বাস্তবতায় গত আগস্টে মিয়ানমার সরকার বলেছিলো যে, তারা ৩,৪৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরে আসার ব্যাপারে সম্মত। ওই সময় কেউ ফিরে আসেনি। তবে সম্প্রতি ফিরে যাওয়া ২৬ ব্যক্তির কেউ প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী সেখানে যায়নি।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন পার্শ্ববৈঠকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক ড্যান কিলারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি জোর করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবেন কি না। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অবশ্যই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশ কখনও তাদের জোর করে ফেরত পাঠাতে চায়নি। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে আমি কাউকে দোষ দেবো না। কারণ মিয়ানমার কারও কথাই শুনছে না।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় অব্যাহত রাখবে। তবে তাদের (রোহিঙ্গাদের) উপস্থিতি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৬ কোটি। তাই এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘমেয়াদে আশ্রয় দেওয়া আমাদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব?’
রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের ভোগান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জায়গা দিতে আমাদের বন উজার করতে হচ্ছে।

উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন