স্বাধীনতা বিরোধী এবং ৭১’র ঘাতক দালালদের তালিকায় এবার নতুন নাম যুক্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর তালিকায় আসা নামগুলো হলো স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী সেই আ স ম আব্দুর রব, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আসম রবের উত্তরার বাসার সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। এসময় মিছিলকারীরা তাদেরকে একাত্তরের দালাল আখ্যাদিয়ে স্লোগান দিয়েছে। আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাষায়- দালালি না ছাড়লে পিঠের চামড়া থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
ড. কামাল, রব, মান্না ও জাফরুল্লাহর অপরাধ? তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোট করেছে।
আ স ম আব্দুর রব এক সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। আর ড. কামাল হোসেনও একদিন শেখ হাসিনার সঙ্গী ছিলেন। মাহমুদুর রহমান মান্নাও আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি-দু:শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তারাও আজ একাত্তরের দালাল হয়ে গেছেন।
এখন আওয়ামী লীগের এই স্লোগান থেকে প্রমাণিত হয়, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবন্দ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন না। শুধু আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাদের অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলায় তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে।
কারণ, জামায়াতে ইসলামী যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তখন জামায়াত নেতারা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। যখন বিএনপির সঙ্গে জোট করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তখনই তারা যুদ্ধাপরাধী হয়ে যায়।