সরকারবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ঐক্য গড়ার যে প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়ে বৈঠক করেছেন নেতারা। বিএনপি, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা এবং দাবি-দাওয়া চূড়ান্ত করতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে নেতারা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলেননি। আগামীকাল শনিবার এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার রূপরেখা প্রস্তুত হয়েছে। আন্দোলনের অভিন্ন লক্ষ্য ও দাবির খসড়াও চূড়ান্ত। শিগগির তা প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করে তারা ৬টা ২৭ মিনিটে বের হন। এ সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সম্মত হননি।
বৈঠকে বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকাটাইমসকে বলেন, আজকে আমাদের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল (শনিবার) সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হবে।
ব্রিফিং কখন কোথায় হবে জানতে চাইলে মন্টু বলেন, সেটা আাগামীকাল আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদ।
এছাড়া বৈঠকে ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ প্রমুখ।
তবে এই বৈঠকে ছিলেন না নতুন এই ঐক্যের প্রধান দুই রূপকার ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সরকারবিরোধী দলগুলো নিয়ে সম্প্রতি একটি ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো তার সঙ্গে রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে এই ঐক্য প্রক্রিয়া। পরে তারা নাগরিক সমাবেশও করেছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে সংসদ ভেঙে দেয়া, ইভিএম ব্যবহার না করা, আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ইত্যাদি।
(ঢাকাটাইমস/
London Bangla A Force for the community…
