ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উদ্বেগের। এই আইনের কারণে পুলিশ বিভাগকে ব্যাপক শক্তিশালী করা হয়েছে। বিনা ওয়ারেন্টে যে কাউকে আটক করার ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। এই আইনের একাধিক ধারা জামিনযোগ্য নয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা সামডাসানি জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংবাদপত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। ব্যক্তি স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করবে। উল্টোদিকে পাস হওয়া আইনটির ফলে পুলিশ বাহিনী ক্ষমতা প্রয়োগের অগাধ স্বাধীনতা ভোগ করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার কমিশনারের মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, গত সোমবার বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস করেছে।
পাস হওয়া আইনটি খুবই উদ্বেগের কেননা, এই আইনটির ধারাগুলো মত প্রকাশের স্বাধীনতায় প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। আইনটি ব্যক্তি স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করবে।
রাভিনা সামডাসানি বলেন, নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক অঙ্গনে যে অঙ্গিকার করেছে আইনটি পাসের ফলে সেই অঙ্গিকার এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংশোধন করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার চর্চা করার, যাতে নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকে। এই বিষয়ে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
সূত্র: মানবজমিন
London Bangla A Force for the community…
