বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের জাতীয় সংগীত ও শিক্ষার্থীদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকায় সমালোচনার ঝড় উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত ৬ অক্টোবর চাঁদপুরের ‘ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানটি ছিল, ফরাক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে নবনির্মিত ‘গান্ধী ভবন’ উদ্ধোধন উপলক্ষ্যে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা। আর অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পিছনে কাজ করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শ্রী সুজিত রায় নন্দী। অনুষ্ঠানটি শুরুর আগেই ব্যানার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা শুরু হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশাল ছবিসহ ছাপানো ব্যানারের প্রতিক্রিয়া আয়োজক কমিটির নিন্দা করেন অনেকে।
অনুষ্ঠানের পর আরও বেশি সমালোচনায় মেতে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। অনুষ্ঠানে গাওয়া হয় ভারতের জাতীয় সংগীত। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। অনেকের মতে, মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করে ‘গান্ধী ভবন’ থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে জাতীয় সংগীত কেন গাইতে হবে। এটি জাতীয় চেতনা বিরোধী।
এই ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য সবাই অবশ্য দায়ী করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীকে। চাঁদপুরের ওই আসনটিতে নির্বাচন করে থাকেন আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনি। সুজিত রায় এবার ওই আসনের মনোনয়ন প্রার্থী। তার ভক্তদের মতে, সুজিত রায় এবার নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে মনোনয়ন পাচ্ছেন।
আর কত দিন, নিজেদের জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধুলিসাৎ করে এরকম খামখেয়ালি কাজ করা। আর কতদিন নিজের স্বার্থের জন্য দেশকে অপমান করা!
ভিডিও ,..click here