চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকী অবসরে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ হয়নি। এজন্য অবশ্য বাংলাদেশকেই দায়ী করেছে পাকিস্তান।
দেশটির অন্যতম গণমাধ্যম ডেইলি টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি টাইমস বলেছে, রাফিউজ্জামান সিদ্দিকীর মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন হাইকশিনার হিসেবে সাকলাইন সায়েদাকে মনোনীত করে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিচয়পত্র পাঠিয়ে সম্মতি চাওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
পরে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার কূটনৈতিক পত্র (নোট ভারবাল) দেয়া হলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারও কোনো জবাব দেয়নি বলে জানায় ডেইলি টাইমস।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করা পাকিস্তানি হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকী ডেইলি টাইমসকে বলেছেন, ‘হাইকমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে সর্বোচ্চ এক মাসের মতো লাগে। এতদিনেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি, এর মানে বুঝতে হবে- বাংলাদেশ পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
রাফিউজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘এটা খুব স্বাভাবিক যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি ছাড়া বাংলাদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত সর্বশেষ পাকিস্তানের হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘এর সুরাহা হতে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে কিন্তু তা দুদেশের সম্পর্কের জন্য মোটেও ভালো কিছু বয়ে আনছে না।’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক গত কয়েক বছর ধরে শীতল অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৫-১৬ সালে পাল্টাপাল্টিভাবে উভয় দেশই একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কারও করে।