বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের চরম সমালোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির জবাব শোনার জন্য অপেক্ষা করেন নি তিনি। নিজের বক্তব্য শেষ করে এ বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান সুষমা স্বরাজ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
খবরে বলা হয়, সুষমা স্বরাজ সন্ত্রাসবাদকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সব থেকে বড় হুমকি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে বিপন্ন করার মতো হুমকির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের এই অঞ্চল সহ সারাবিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি আরো বলেন, কোনো বাছবিচার ছাড়াই সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের উৎস ও একে সমর্থনকারী নেটওয়ার্কগুলো সমূলে ধ্বংস করা প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকই সবচেয়ে কার্যকর হবে বলে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই। এসময় পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই দেশটির তীব্র সমালোচনা করেছেন সুষমা। পাকিস্তানকে ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান আগে কিছু করে দেখাক। গঠনমূলক কিছু করার ইচ্ছা থাকলে আগে তা করে দেখাতে হবে। না হলে শুধু বৈঠকে বসে কোনো কাজের কাজ হবে না। এরপরই নিজের বক্তব্য শেষ করে তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।
সুষমা স্বরাজ চলে যাওয়ার পর নিজের বক্তব্য প্রদান করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর উন্নতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি মাত্র দেশ। আমার প্রশ্ন হলো এই অঞ্চলের দেশগুলো যদি একসঙ্গে না বসে, তবে আঞ্চলিক সহযোগিতা কীভাবে সম্ভব? তিনি আরো বলেন, যদি সার্কভুক্ত দেশগুলো এই ফোরাম থেকে কিছু অর্জন করতে চায়, তবে অবশ্যই তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চলে যাওয়ার বিষয়ে কুরেশি বলেন, তিনি বৈঠকের মাঝপথেই চলে যান। হয়তো তিনি সুস্থ বোধ করছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে তিন পুলিশকে হত্যার জের ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারতের। এর প্রেক্ষিতে দেশ দুটির মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকও বাতিল করে দিয়েছে ভারত।