রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার জনসভা ডেকেছে বিএনপি।তবে একই সময় ও স্থানে আওয়ামী লীগও জনসভা করার ঘোষণা দেয়ায় বিএনপি এখন জনসভাটি রোববার করার জন্য ডিএমপি বরাবর আবেদন করেছে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আলোচনার মধ্যেই বিএনপির এই জনসভাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকরা। তবে ওই জনসভা বিএনপির একার নাকি ২০ দলীয় জোটের তা এখনও স্পষ্ট করেনি দলটি। ওই সমাবেশে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াত নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় না বিএনপি। তবে ওই জনসভাতে জামায়াতকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এজন্য ২০ দলীয় জোটের নেতাদেরও ডাকা হয়নি জনসভায়। এ জনসভায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সাত দফা দাবি ও নির্বাচন পরবর্তী কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঘোষণা করা হবে এমনটিই জানা গেছে।
জনসভা নিয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই জনসভা থেকে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেব। আমাদের ভবিষ্যতের কর্মপন্থা, ভবিষ্যতের কর্মসূচি এগুলো আসবে। তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ছাড়া অন্য দল বা ২০ দলীয় জোটের কেউ থাকবে কিনা, তা স্পষ্ট করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক আরটিভি অনলাইনকে জানান, বিএনপি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকতে চায়। তবে ভোটের রাজনীতিতে এই ঐক্যের বড় ভূমিকা নেই, সেটা বিএনপি বুঝছে। সে জন্য জামায়াতকে বিএনপির লাগবেই।এ বিবেচনা থেকে এখনই বিএনপি জামায়াতকে ছাড়তে চায় না।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও জাতির এই দুঃসময়ে জামায়াতকে নিয়েও গো ধরে বসে থাকা উচিত না। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সবারই একমঞ্চে আসা উচিত। তবে এ অবস্থায় বৃহত্তর ঐক্য কত দূর এগোয়, তা নিয়ে সংশয় আছে বলেও মনে করেন এ নেতা।
এ বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা তাদের মতো করে কথা বলছে। সেটা তাদের ব্যাপার। জামায়াত আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত জোটে আছে। ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও নিয়মিত। এখনও জামায়াত থাকবে নাকি থাকবে না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। দেখা যাক, কী হয়। দলের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে জানতে আগামী জনসভার মধ্যেই অনেক কিছু হবে বলেও জানান তিনি।