ব্রেকিং নিউজ
Home / খেলাধুলা / জার্মানির শেষ সময়ের গোলে বিধ্বস্ত সুইডিশ

জার্মানির শেষ সময়ের গোলে বিধ্বস্ত সুইডিশ

প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা জার্মানি দ্বিতীয়ার্ধেই সমতায় ফিরলো। ৪৮ মিনিটে টিমো ভার্নারের ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করতে কোন অসুবিধা হয়নি জার্মান স্ট্রাইকারের। সুইডিশ ডিফেন্ডারদের বাধা অতিক্রম করে দেয়া তার গোলটি জার্মান শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলো।

এরপর অতিরিক্ত মিনিটে গোল করে জয় নিশ্চিত করে জার্মানি।

জার্মানি-২ , সুইডিশ -১

মাত্র ৩ মিনিটে জার্মানদের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করে দেয় সুইডেন। টিমো বার্নারের হেডে বক্সের মাঝে বেশ জায়গা নিয়ে পায়ে বল পান হুলিয়ান ড্র্যাক্সলার। জোরে শটও নেন তিনি লক্ষ্যে। কিন্তু আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ত পিঠ দিয়ে ঠেকিয়ে তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন।

৬ মিনিটে এমিল ফোর্সবার্গের দারুণ চেষ্টা রুখে দেয় জার্মানির ডিফেন্ডাররা। ৯ মিনিটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের একটি সুযোগ ব্যর্থ করে দেয় সুইডিশ ডিফেন্ডার। মার্কো রয়েসের ক্রস থেকে বার্নারের আক্রমণ মাঠের বাইরে পাঠিয়ে কর্নার বানান লিন্ডেলফ।

সুইডেনের সুবর্ণ সুযোগ আসে ১২ মিনিটে। জার্মান রক্ষণ ভেদ করে ডিবক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন মার্কাস বার্গ, কিন্তু মানুয়েল নয়ার ও জেরোম বোয়াটেংয়ের মাঝে পড়ে যান তিনি। জার্মান ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে নয়ারের সামনে শট নেওয়ার আগেই হোঁচট খান সুইডেনের ৯ নম্বর জার্সি পরা এ খেলোয়াড়। গত বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক বল সামলে নেন নিজের হাতে।

কয়েক বার জার্মানির রক্ষণ ভেদ করায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে সুইডেন। তার পুরস্কার পায় ম্যাচের আধঘণ্টা পার হতেই। ৩২ মিনিটে পা থেকে বল হারালে ভিক্টর ক্লাসেনের অ্যাসিস্টে ডান দিক থেকে বল পান ওলা টোইভনেন। বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েই নয়ারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে গোল উদযাপনে মাতেন তিনি।

বিরতিতে যাওয়ার আগে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল জার্মানি ৩৯ মিনিটে। একই সময়ে দুইবার লক্ষ্যে শট নিলেও সুইডিশ গোলরক্ষক রবিন ওলসেন ত্রাতা হন। গুন্দোগানের প্রথম শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর ম্যুলার নেন ফিরতি শট। এবার বল গোলবারের কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে।

বোয়াটেং ৪৫ মিনিটে দূর থেকে শট নিলেও ভাগ্য সহায় হয়নি জার্মানদের। গোলবারের পাশ দিয়ে বল জায়গা করে নেয় মাঠের বাইরে। বরং ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নয়ার জার্মানিকে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচান। সেবাস্তিয়ান লারসনের ফ্রি কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে হেড করেছিলেন বার্গ। জার্মান গোলরক্ষক দারুণ সেভ করেন।

বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় জার্মানি। ৪৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বার্নারের পাস থেকে বাঁ পায়ের শটে ওলসেনকে পরাস্ত করে দলকে সমতায় ফেরান রয়েস। এই গোলের পর আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৫০ মিনিটে টোনি ক্রসের ফ্রি কিক থেকে লক্ষ্যে হেড করেছিলেন থোমাস ম্যুলার। কিন্তু গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৫৬ মিনিটে জোনাস হেক্টর সময়মতো বলে পা লাগাতে পারেননি, ওলসেন সহজে ঠেকান জার্মানির এই চেষ্টা। ক্রোসের ক্রস ৬৬ মিনিটে প্রতিহত করে তাদের আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন লিন্ডেলফ। ৭২ মিনিটে বার্নারের ক্রস সুইডিশ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালের দিকে ছুটেছিল, আবারও ওলসেন দারুণ সেভে আটকে দেন জার্মানিকে।

দুরমাজ সুইডেনের পক্ষে ৭৬ মিনিটে কর্নার আদায় করে নেন। অগাস্টিনসনের বাঁকানো শট জার্মান ডিফেন্ডার হেড করে বাইরে পাঠালেও বক্সের বেশ দূর থেকে বার্গ শক্তিশালী শটে নয়ারের পরীক্ষা নেন।

৮১ মিনিটে বার্নারের সরাসরি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে বড় ধাক্কা খায় জার্মানরা। বার্গকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বোয়াটেং। শেষ ৮ মিনিট ১০ জনের দল নিয়ে খেলেছে গতবারের শিরোপা জয়ীরা। ওই ফ্রি কিক থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল সুইডেন। বক্সের মধ্যে ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া গুইদেত্তির শট পাঞ্চ করে কোনোভাবে মাঠের বাইরে পাঠান নয়ার।

৮৮ মিনিটে অসাধারণ সেভ করেন ওলসেন। গোমেসের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে তুলে দেন সুইডিশ গোলরক্ষক। কিন্তু ইনজুরি সময়ে পঞ্চম মিনিটে ক্রোসের অসাধারণ ফ্রি কিক গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় জার্মানি