খুলনা-গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছাড় দিলেও সিলেটে মেয়র পদে বিএনপি’র সঙ্গে সমন্বয় করবে না জামায়াত।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন ও ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপিকে শুধু ছাড়ই দেয়নি, তারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোটও চেয়েছেন, এমন দাবি জামায়াত নেতাদের।
আসন্ন ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অন্তত একটিতে মেয়র পদ চায় ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী। এ নিয়ে দর-কষাকষি চলছে জোটের সবচেয়ে বড় এই দুই দলের মধ্যে।
সূত্র জানায়, গত বুধবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে এ দাবি তুলেছে জামায়াত। তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি হচ্ছে, আমরা জোটে আছি। সব সময় আমরা ছাড় দেব, আমাদের একটাও ছাড়বে না, এটাতো হতে পারে না। পরে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ার কারণে ২৭ জুন আবারও জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিলেটে তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে। অন্য দুই সিটি রাজশাহী ও বরিশালে যদি তাদের সমর্থন পেতে হয়, তাহলে তাদের একটা ছেড়ে দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সিলেটে নির্বাচন করব, এটাই শেষ কথা। বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, সারাদেশের সকল নির্বাচনে আমরা জোটের শরিক হিসেবে বিএনপিকে যদি ছাড় দিতে পারি, তাহলে একটা মেয়র পদে তারা কেনো ছাড় দিতে পারবে না?
বরিশাল ও রাজশাহীতে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা এখন বলার বিষয় নয়। তবে সিলেটে নির্বাচন করব এটা বলতে পারি।
জানতে চাইলে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জামায়াত সিলেটের মেয়র পদ চেয়েছে কি না আমার জানা নেই।
শুক্রবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় গুলশান অফিসে সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে জামায়াতের দাবি নিয়ে কোনো
আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিন সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম শুক্রবার ঘোষণা করা হলেও বিএনপি কেনো ঘোষণা করছে না জানতে চাইলে দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বাংলানিউজকে বলেন, ২৮ জুন পযর্ন্ত সময় আছে। এর আগে যেকোনো একদিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
অপরদিকে, শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সবকিছু ঠিক করে রাখা হবে। গাজীপুরের নির্বাচন কেমন হয়, তা দেখে পরবর্তী তিন সিটিতে নির্বাচনে যাব কি যাব না তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।