একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগানো যাচ্ছিল না। ভাঙছিল না কোস্টা রিকার রক্ষণ আর গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের বাধা। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে ফিলিপে কৌতিনিয়ো আর নেইমারের গোলে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল।
একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগানো যাচ্ছিল না। ভাঙছিল না কোস্টা রিকার রক্ষণ আর গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের বাধা। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে ফিলিপে কৌতিনিয়ো আর নেইমারের গোলে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল।
রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার খুব সহজ সুযোগ নষ্ট হয় কোস্টা রিকার। ডান দিক থেকে ক্রিস্তিয়ান গামবোয়ার কাটব্যাকে ডি-বক্স থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ফাঁকায় থাকা সেলসো বোর্হেস।
ব্রাজিলের প্রথম সুযোগটা পান নেইমার ২৭তম মিনিটে। ডি-বক্সে বল পেয়ে পিএসজির এই ফরোয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই এগিয়ে এসে বাধা দেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
৪১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেছিলেন মার্সেলো, তবে নাভাসকে ফাঁকি দিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অর্ধে আরও গুটিয়ে যায় কোস্টারিকা, আরও আক্রমণাত্মক খেলে ব্রাজিল। তাতে খুব ভালো সুযোগ এসেছিল পাঁচ মিনিটের মাথাতেই। ডান দিক থেকে ফাগনারের ক্রসে গাব্রিয়েল জেসুসের হেডে বল ক্রসবারে লাগলে গোল পায়নি ব্রাজিল। পরক্ষণেই কৌতিনিয়োর জোরালো শট গোলের মুখে থেকে ফেরে এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে।
৫৬তম মিনিটে নেইমারের খুব কাছ থেকে নেওয়া শটে গ্লাভস লাগিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান নাভাস। একটু পর কৌতিনিয়োর জোরালো শট কোনোমতে আয়ত্তে নেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এই গোলরক্ষক।
৭২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। নাভাসও ছিলেন গোল থেকে একটু বেরিয়ে। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। জার্সিতে মুখ ঢাকলেন হতাশায়।
এরপর অভিনয় করে পেনাল্টি প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। রেফারি প্রথমে স্পটকিকের নির্দেশ দিয়েও পরে কোস্টা রিকার খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে ভিডিও রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান। তখন নেইমার শাস্তি থেকে বেঁচে গেলেও একটি পর মেজাজ হারিয়ে ঠিকই দেখেন হলুদ কার্ড।
অবশেষে যোগ করা সময়ে আসে গোল দুটি। প্রথম মিনিটে ফিরমিনোর হেড ডি-বক্সে পা দিয়ে নামিয়েছিলেন জেসুস। এগিয়ে এসে নিচু শটে নাভাসকে ফাঁকি দেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন কৌতিনিয়ো।
আর সপ্তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পান নেইমার। প্রতি আক্রমণে দগলাস কস্তার কাছ থেকে বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান অরক্ষিত থাকা পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচ শেষ হলে আবার ঢাকেন মুখ। তবে এবার হতাশায় নয়, ৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর স্বস্তির গোল পাওয়ার কান্নায়।