ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অজ্ঞান করে দুই যুবককে অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানো হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় ওই দুই যুবক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন কালীগঞ্জ শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের কেসমত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০) ও একই উপজেলার ঘোপপাড়া গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে কাজল (২২)। আর এই কাজটি করেছে কালীগঞ্জের হিজড়া সর্দার মনিরা ওরফে রতনা।
ঈদের এক সপ্তাহ আগে এ ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানা জানি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তিভোগীরা হিজড়া সর্দার মনিরার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগি শরিফুল ইসলামের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমার ছেলের আচরণ কিছুটা অস্বাভাবিক। কালীগঞ্জের হিজড়া সর্দার মনিরা তাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে হাতে নেয়। ঈদের আগে তাকে অজ্ঞান করে হিজড়া বানানোর জন্য অপারেশন করিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। তাকে আটকে রাখে তার বাড়িতে। পরে আমরা চাপ দেবার পর শরিফুলকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।বর্তমানে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তাকে হিজড়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তারা হিজড়া সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি।
শরিফুল ইসলাম জানান, সে কাজল হিজড়াদের সাথে চলাচল করতো। কিন্তু ঈদের আগে তাদের কিছু না জানিয়েছে হিজড়া সর্দার খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করে একটি মাইক্রোবাস যোগে যশোরের কোন এক ক্লিনিক থেকে অপারেশন করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এর পর থেকে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে আরো জানান, হিজড়া সর্দার মনিরা তাদের অপারেশন করে পুরুষাঙ্গ কর্তনের পর মাগুরায় নিয়ে যায় এবং তাদের নাক, কান ছিদ্র করে হাতে চুরি পরিয়ে দেয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান আহমেদ বলেন, কারো অমতে এ ধরনের অপরাধ আইনবিরোধী। দুই রোগীর অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে শরিফুল ইসলামকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তার কাছে কেউ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে হিজড়া সর্দার মনিরার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দুই দফা বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি।