নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্টদের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল ১১৮২-এর নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান সৈয়দ রহিম।
আগামী তিন বছরের (২০১৮-২০২০) জন্য গঠিত ১০ সদস্যের এ কমিটিতে আরও চার বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৬ জুন নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকা আরবিটেশন অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গেছে,প্রেসিডেন্ট পদে আলেকজেন্ডা সাদিককে খুব সহজে হারিয়ে ট্রাফিক এজেন্টদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সৈয়দ রহিম।১০ সদস্যের এ কমিটিতে অন্য বাংলাদেশিরা হলেন চীফ ডেলিগেট সৈয়দ ইসলাম।
এ ছাড়া ডেলিগেটদের মধ্যে ম্যানহাটন থেকে সৈয়দ উতবা,কুইন্স থেকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এবং ব্রঙ্কস থেকে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে অলফোনি সুকুম্বি, ম্যানহাটন ডেলিগেট এনজেল ডিয়াজ,ব্রুকলীন ডেলিগেট নেরেসা ক্লাইমন্ড।
এদিকে নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারী পদে কাস্টিং ভোটের অর্ধেকের বেশি ভোট কেউ না পাওয়ায় পুনরায় ভোট গ্রহণ হবে।
সিডব্লিউএ লোকাল ১১৮২ সংগঠনটি ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করে। এ ছাড়া সদস্যদের অধিকার আদায়ে সিটি ও স্টেটের সঙ্গে দর কষাকষিতে সিডাব্লিউএ লোকাল ১১৮২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিউইয়র্ক ট্রাফিক বিভাগে বর্তমানে প্রায় চার হাজার সদস্য কাজ করছেন। এরমধ্যে পাঁচশ বাংলাদেশি।
নির্বাচনে ৫টি প্যানেল থেকে ১০টি পদে অর্ধশতাধিক প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সৈয়দ রহিম নেতৃত্বাধীন ‘দ্যা রাইট ডাইরেকশন’ টিম ৬টি পদে জয়লাভ করেন। দুটি পদে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে সৈয়দ রহিম ৭০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেকজান্ডার সাদিক পেয়েছেন ৩৭১ ভোট।
অন্য সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ৬৭৭ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদৎ হোসেন পেয়েছেন ৩১৩ ভোট। সৈয়দ উতবা পেয়েছেন ৪৩৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাঞ্জেল দিয়াজ পেয়েছেন ৪১৬ ভোট। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ৪৬৭ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পঙ্কজ রায় পেয়েছেন ৩৮৩ ভোট।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের প্রাপ্ত ভোট ৪৫৪ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসন পেরেজ পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট।
সৌজন্যে:বার্তা২৪