জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো: আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রেজাক খান, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি এই মামলার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে আদালত রায়ের জন্য আট ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জরুরি অবস্থার মধ্যে রমনা থানায় এই মামলাটি করে দুদক।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত খালেদাসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং দুদক আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে।
ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন। আর বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে। এদিকে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
আলোচিত এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষ আদালতে মোট ১৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে। আর মোট ২৩৬ কার্যদিবস শুনানির পর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। এদিকে খালেদা জিয়ার অনাস্থার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এর আগে তিনবার এই মামলার বিচারক বদল হয়েছে।