২৭ মার্চ, ২০১৬: সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানির জন্য আবেদনটি কার্যতালিকায় এসেছে।
বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে সোমবারের কার্যতালিকায় দেখা যায় আবেদনটি।
এতে দেখা যায়, ‘২৮ মার্চ, সোমবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত একত্রে বৃহত্তর বেঞ্চে বসবেন তিন বিচারপতি এবং শুনানির জন্য রিট পিটিশন নং ১৪৩৪/১৯৮৮ গ্রহণ করবেন’।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন। তবে কার্যতালিকা অনুসারে ২৭ মার্চ নয়, ২৮ মার্চ আবেদনটির শুনানি হবে।
ওই দিন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ২৭ ও ২৮ মার্চ শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। এর আগে হাইকোর্ট ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেছেন। আগামী তারিখে নতুন করে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
২৮ বছর আগে করা ১৫ বিশিষ্টজনের করা একটি রিট আবেদনের ২৩ বছর পর রুলটি জারি করা হয়। আর রুল জারির প্রায় ৫ বছর পরে এসে এ রুল শুনানির দিন ধার্য হয়।
রিট মামলটি করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
জামায়াতের হরতাল :
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্ত চলছে এমন দাবিতে সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত। রবিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এ আবেগ-অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকার যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে তা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
তাই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর চক্রান্তের প্রতিবাদে এ দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২৮ মার্চ সোমবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতাল আহ্বান করছি।
হরতালে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।