২৬ মার্চ, ২০১৬: সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের সীমানাসংলগ্ন এলাকায় (এ স্থানে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই) সোহাগী জাহান তনুর অচেতন দেহ খুঁজে পান তার বাবা ইয়ার আলী এবং তিনি মিলিটারি পুলিশকে খবর দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সোহাগীকে তৎক্ষণাৎ সিএমইচে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্ত করে। আইএসপিআর বলছে, সোহাগী হত্যার কারণ উৎঘাটনে এর মধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং এ কাজে সেনাবাহিনী পুলিশ ও প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রায় পাঁচ দিন পরে আইএসপিআর এই বিবৃতি দিল। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশের ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে।
তনুর বাবা ইয়ার আলী শুক্রবার বলেছেন, ‘আমি কুমিল্লা সেনানিবাসে থাকি। সেই সেনানিবাস এলাকা থেকে আমি নিজে আমার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ ওঠার পাঁচ দিন পরও পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু বলতে পারছে না। পুলিশ বলেছে, হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, সেটা জানার জন্য তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে।’