২৩ মার্চ ২০১৬: কোচিং সেন্টার ‘সাইফুরস’-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষমন্ত্রী বলেন, ‘সাইফুরস’ কোচিং সেন্টার একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছে, ভালো ইংরেজি না জানতে পারলে ভালো লেখাপড়া করতে পারবে না, বিদেশে যেতে পারবে না। ভালো ডাক্তার, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না। এমনকি ভালো হ্যাকারও হতে পারবে না।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই দেখুন হ্যাকার হওয়ার জন্য তার কাছে গিয়ে পড়তে হবে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এটা অবশ্যই বেআইনি। এ ধরনের বিজ্ঞাপন তারা দিতে পারে না। চিন্তা করে দেখেন এ কোচিং সেন্টার কত অধঃপতনে নেমেছে। তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে ভালো হ্যাকার হতে হলে ভালো ইংরেজি শিখতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের এ সমাজ টিকবে না। বাধ্য হয়েই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভায় শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বিজি প্রেস, পুলিশ, র্যাব, ডিবির প্রতিনিধিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৩ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এবং শেষ হবে আগামী ৯ জুন। পরীক্ষার নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা খুবই সতর্ক আছি। আমাদের বিভিন্ন বাহিনী অবস্থা মনিটর করছে। এবার কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে রেহাই পাবে না। বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। বিজি প্রেসে আগের চেয়ে নজরদারি অনেক বাড়ানো হয়েছে। আমরা আগের চেয়ে এখন আরো সিরিয়াস।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিজি প্রেসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এমনকি তাদের আত্মীয়স্বজনরাও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি কোনো অবস্থাতেই এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই।’
নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে সহযোগিতা করতে সব শিক্ষক ও অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নকলমুক্ত পরীক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।’