২১ মার্চ ২০১৬: ব্যাটিংয়ে জয়ের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল বাংলাদেশ, বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে সেই স্বপ্ন হলো হাতছাড়া। ১৫৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ নড়বড়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। তারপরও বাংলাদেশি ফিল্ডারের ভুলের ফসল হিসেবে শেষ পর্যন্ত ৯ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে অজিরা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আগে থেকেই জানা ছিল খেলবেন না তাসকিন ও সানি। মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এলো দারুণ ফর্মে থাকা তামিম ইকবালের না খেলার খবরও। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে আশা জাগানিয়া স্কোর ছিল বাংলাদেশের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর লড়াকু ব্যাটিংয়ে ভর করে টাইগাররা স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ১৫৬ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হেসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট। সৌম্য, সাব্বির ও মিথুনের বিদায়ের পর দল যখন প্রচণ্ড চাপে, তখন চাপের মুখেও খেলেছেন ২৫ বলে ৩৩ রানের লড়াকু ইনিংস।
শেষ পর্যায়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১ ছয় ও ৭ চার মেরে খেলেছেন ২৯ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। মুশফিকের ১৫ রানের ইনিংসটিও বড় অবদান রেখেছে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহের পেছনে।
বেঙ্গালুরুর চিন্মাস্বামী স্টেডিয়ামে তারপর শুরু হয় টাইগারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া। কখনো ক্যাচ মিস, কখনো রান আউট করার নিশ্চিত সুযোগ মিস, চার মিস, কি ছিল না আজকের ম্যাচে?
বোলিংটাও আজ ঠিক ভাবে করতে পারেননি কোন বোলার। মাশরাফির অধিনায়কত্বও ছিল মনযোগহীন। তাকে দেখে মনে হয়েছে হারার আগেই হেরে বসে আছেন।
এটি চলতি বিশ্বকাপে অজিদের প্রথম জয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। এই ম্যাচটি ছিল দু’দলের সামনেই সেমিতে টিকে থাকার জন্য দারুণ এক সুযোগ। কিন্তু সুযোগটা হেলায় হারিয়ে ফেললো বাংলাদেশ। ক্যাচগুলো মিস না হলে, ফিল্ডিংগুলো যথাযথভাবে করতে পারলে নিশ্চিতই দুর্দান্ত জয়টা পেয়ে যেতেন মাশরাফিরা; কিন্তু, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পেরে পরাজয়কেই বরণ করে নিতে হলো টিম বাংলাদেশকে।